মন্ত্রীরা অনুপস্থিত, অসন্তোষ সাংসদদের
বেশির ভাগ মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকায় সংসদে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সরকারি ও বিরোধী দলের সাংসদেরা। আজ মঙ্গলবার জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ (বিধি-৭১) নোটিশের ওপর আলোচনা এবং বিল পাসের সময় সাংসদেরা এ বিষয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
৭১ বিধিতে নোটিশ উত্থাপনের সময় সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে তাঁর নোটিশ পড়ে শোনান। এ সময় তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি জঙ্গিবাদ দমন করতে পারি, তবে খাদ্যের ভেজাল কেন রোধ করতে পারব না। এ বিষয়ে স্পিকারের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করা উচিত। সরকারের জন্যও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এখানে শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ আরও অনেকেই নেই।’ আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়ে সভাপতির আসনে থাকা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
স্থানীয় সরকার–সম্পর্কিত নোটিশ উত্থাপনের সময় জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, ‘এখানে ফুল মন্ত্রী নেই। আমার বন্ধুবর হাফ মিনিস্টার আছেন। আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বিল পাসের সময় স্বতন্ত্র সদস্য হাজি সেলিম বলেন, ‘মন্ত্রীরা উপস্থিত নেই, আছেন শুধুমাত্র একজন মন্ত্রী, যিনি আবার নতুন বিবাহিত। উপস্থিত থাকার জন্য নব বিবাহিত মন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
এ সময় ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘মাননীয় সদস্য, আপনি সংসদীয় ভাষায় কথা বলুন। অসংসদীয় ভাষায় আপনি সংসদে কথা বলতে পারেন না। আপনি বিলের ওপর কথা বলুন।’
এরপর হাজি সেলিম বলেন, ‘ভালো কথা বলছিলাম। মন্ত্রীরা থাকেন না। আমরা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলি। আছেন শুধু নতুন বিবাহিত মন্ত্রী।’
এ সময় ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আপনি একজন মন্ত্রীকে নতুন বিবাহিত বলেছেন। আপনার এই কথা সংসদের কার্যবিবরণী থেকে এক্সপাঞ্জ করা হবে।’
হাজি সেলিম যখন কথা বলছিলেন, তখন সংসদে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।