প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এইচ টি ইমাম
নিউ ইয়র্কে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাঁর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালে মূল মঞ্চের পাশেই চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি।
নিউ ইয়র্ক থেকে ফিরে দেড়মাসের মাথায় ঢাকায় ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে এইচ টি ইমাম বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিসিএসের চাকরি নিয়ে তিনি বলেন, তোমাদের লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হবে। তারপর আমরা দেখব। এ ছাড়া ওই অনুষ্ঠানে ৫ জানুযারির নির্বাচন নিয়েও বেফাঁস মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমি প্রত্যেকটি উপজেলায় কথা বলেছি, সব জায়গায় আমাদের যাঁরা রিক্রুটেড, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের দিয়ে মোবাইল কোর্ট করিয়ে আমরা নির্বাচন করেছি। তাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, বুক পেতে দিয়েছে।
তিনি কেন ৫ জানুযারি নির্বাচন নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তা ভাবিয়ে তুলেছে সরকারের শীর্ষ মহলকে। এটা কোনো ষড়যন্ত্র বা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তিনি ইচ্ছা করে বলেছেন কিনা- তা নিয়ে সরকারে চলছে নানা বিশ্লেষণ। বিএনপি যদি এটাকে দেশ-বিদেশে ইস্যু করতে পারে তবে সুবিধা পাবে বলে মনে করেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা। তাই তাঁরা মনে করেন এইচ টি ইমামকে ষড়যন্ত্রকারী হিসবে বাদ দিয়ে দিলে হয়ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজ হবে। কার স্বার্থে কী উদ্দেশ্যে এইচ টি ইমাম এই বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।
এইচ টি ইমামের কথায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শুক্রবার ঢাকায় সংসদীয় বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এইচ টি ইমাম ওই দিন সম্পূর্ণ অকারণে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের মন্ত্রী এবং বোর্ডের সদস্যরা দলীয় এবং সরকারি পদ থেকে এইচ টি ইমামকে অপসারণ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন।
এদিকে পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষা ও সরকারি চাকুরিতে নিয়োগ প্রসঙ্গে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক সভায় তিনি যেসব মন্তব্য করেছেন, তার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।
তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ