সরকার মুক্তিযুদ্ধকে পণ্যে পরিণত করেছে : হাফিজ
সরকার মুক্তিযুদ্ধকে একটি পণ্যে পরিণত করেছে। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার জন্য তারা মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ওই সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের তৈরি মুক্তিযোদ্ধা তালিকাকে অবৈধ বলে দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধক্ষেত্রে কম-বেশি এক লাখ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এখন মুক্তিযোদ্ধা তিন লাখে পরিণত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই।
এই মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা বলেন, পাঁচজন সচিব ভুয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন। সবখানে এটি নিয়ে আলোড়ন উঠলেও সরকারের টনক নড়েনি। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তামাশা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে তিনি এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সই নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট নিতে হবে, এটি দুঃখজনক। মুক্তিযুদ্ধের সেনাপ্রধান বেঁচে না থাকলেও উপসেনাপ্রধান এ কে খন্দকার এখনো বেঁচে আছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ দেওয়ার অধিকার একমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রের সেনাপ্রধানেরই থাকা উচিত। এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ দাবি করেন, বিএনপির আমলে করা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। থাকলে সেটিও সঠিক ছিল না।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান। তিনি বলেন, সরকার রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী শরণার্থী ও তাদের পদলেহনকারী উচ্ছিষ্টভোগী আমলাদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর এক ভয়াবহ খেলায় মেতে উঠেছে। তালিকা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে সাদেক আহমেদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্টিফিকেট ও লাল বইয়ে নাম থাকার যে প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়ার এক অপচেষ্টা।