নির্যাতনকারী মিম্মা নিজেকে বাঁচাতে অপকৌশলের আশ্রয়
মেহেরপুরে গাংনীর সন্ধ্যানী সংস্থা পরিচালিত সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের হিসাব রক্ষক মিম্মা সুলতানা কর্তৃক নির্যাতিতা কাজের মেয়ে বুশরা সুলতানার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে মানবাধিকার সংগঠন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর তদন্ত করেছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিসার নাছিমা খাতুন ও মানবাধিকার সংগঠন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর শিশু ফোরাম এর শামীমা আক্তারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে এ দল গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলীর কাছে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন এবং প্রতিকারের দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান দলের প্রধান শামিমা আক্তার।
গাংনীর সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের হিসাব রক্ষক নির্যাতনকারী মিম্মা সুলতানা নিজেকে বাঁচাতে বুশরার নামে ফেইসবুক খুলে নানা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন মানবধিকার কর্মীরা বিষয় টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। এদিকে ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে বুশরা’র মাকে ব্যবহারের চেষ্টা চালাচ্ছেন মিম্মা সুলতানা।
এঘটনায় সোমবার সকাল ১১ টার দিকে সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে নির্যাতিত বুশরার খোঁজ খবর নেন গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাছিমা খাতুন।
গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাছিমা খাতুন জানান, শিশু বুশরা-কে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের চিহৃ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে রয়েছে। তারপরেও নির্যাতনকারী মিম্মা সুলতানা শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আইনী সহায়তা দিতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর প্রস্তুত রয়েছে।
গাংনী থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম জানান, নির্যাতনকারী মিম্মার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়,শিশু বুশরাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে তার উপর চলছে মধ্যযুগীয় নির্যাতন। এদিকে তার উপর নির্যাতনের বিষয়টি বুশরাকে দিয়ে অস্বীকার করানোর চেষ্টা করানো হচ্ছে। অত্যন্ত কৌশলে শিশু বুশরাকে এখন কারোর সাথে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না।
বুশরার সহপাঠিরা জানান, ইন্টারনেট তো দুরের কথা মোবাইল ফোন না চালাতে পারেনা বুশরা। তারপরেও বুশরার নামে ফেইসবুক এ্যাকাউন্ট হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।।
অপর একটি সূত্র জানায়, প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে মিম্মা নিজেই বুশরা ইয়সামিন নামের এ ফেইসবুকটি পরিচালনা করছেন।