গুলি শেষ হয়ে গেলে সরকার কী করবে?
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস বলেন, সামনে আন্দোলন আসছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা এবার গুলি বুকে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। কত গুলি সরকারের আছে- এবার আমরা দেখব। গুলি শেষ হয়ে গেলে সরকার কী করবে?
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, এভাবে গুলিবর্ষণ করে আন্দোলন দমানো যাবে না।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভাসানী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মাওলানা ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, যা করেছেন, করেছেন। এবার দমন-নির্যাতন বন্ধ করুন। দেশের মানুষ দয়ালু। সব মাফ করে দেবে। দয়া করে স্বৈরাচারের খাতায় নিজেদের নাম লিখাবেন না।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘হুঙ্কার’ দিলে সরকার পতন হবে মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এক হুঙ্কারে সরকারের তখতে তাউস নড়বড়ে হয়ে যাবে। আপনারা টিকে থাকতে পারবেন না।
মাওলানা ভাসানীকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অকৃতজ্ঞ দল। ভাসানীর জন্ম না হলে অনেক নেতার জন্ম হত না। আজ ভাসানীর নাম পাঠ্যপুস্তক থেকে তুলে দেয়া হয়েছে, একইভাবে জিয়াউর রহমানের নামও নেই। পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারাগারে বন্দী হলে মাওলানা ভাসানীই জনগণকে মাঠে নামিয়েছেন।