সৌভাগ্য আনতে সেক্স পাহাড়ে পাড়ি তীর্থযাত্রীদের
দূর থেকে দেখলে এই পাহাড়টাকে আর পাঁচটার মতই সুন্দর আর শান্ত দেখায়। কিন্তু আর পাঁচটা পাহাড় থেকে যে এটা অনেকটা আলাদা সেটা বোঝা যাবে এর ‘মাহাত্ম্য’-এর কথা শুনলে। তার আগে এর নামটা শুনেই হয়তো চমকে উঠবেন। এর নাম ‘সেক্স পাহাড়’।
ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভার এই পাহাড়ের ওপর অনেকটা হেঁটে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে যেতে হয় তীর্থযাত্রীদের।
এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের রীতি অনুযায়ী অচেনা মানুষদের সঙ্গে যৌন সহবাস করতে হয়। সেক্স পাহাড়ে পুণ্য সঞ্চয়ের জন্য এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিবাহিত পুরুষ, মহিলা, সরকারী অফিসার, দেহব্যবসায়ীরাও। বিশ্বাস করা হয়, যে এই সেক্স পাহাড়ে সেক্স করলে ভাগ্য ফেরে। হাজার হাজার তীর্থযাত্রী এই সেক্স পাহাড়ে গিয়ে যৌন সহবাস অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রতি রাতে প্রায় ৮ হাজার মানুষ সেক্স পাহাড়ে উঠে আজব এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রীতি অনুযায়ী এই সেক্স পাহাড়ে গিয়ে ৩৫ দিন অন্তর পরপর সাতবার সেক্স করতে হয়। তাহলেই নাকি ভাগ্য ফিরে যায়। বেকাররা চাকরি পায়, শরীর রোগ মুক্ত হয়, গরীব লোকের আর অভাব থাকবে না, সংসারে অশান্তি বলে কোনও কিছু থাকবে না।
কিন্তু এমন ধর্মীয় রীতি শুরু হল কীভাবে? ইন্দোনেশিয়ার এই পাহাড়ি অঞ্চলের স্থানীয় মানুষরা জানান, ষোড়শ শতাব্দিতে এক ইন্দোনেশিয়ান যুবরাজ তার সত্ মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। রাজা জেনে ফেলার পর যুবরাজ তার সত্ মাকে নিয়ে এই পাহাড়ে আশ্রয় নেন। পাহাড়ে রাতে সেই পাহাড়ে মধ্য মৈথুনের সময় যুবরাজ ও তার সত্ মাকে খুন করা হয়। পরে তাদের মৃতদেহ সেই পাহাড়ের পুঁতে ফেলা হয়।
সেখান থেকেই শুরু হয় এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের। স্থানীয়দের অনেকের বিশ্বাস, সেক্স পাহাড়ে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সেক্স করলে ভাগ্য ফিরতে বাধ্য।
তথ্যসূত্র: জিনিউজ