সেনা অভ্যুত্থানের সব তথ্য দিতে পারেননি মন্ত্রী

Arm-Forces-Ministryস্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে মোট কতবার ক্যু, পাল্টা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে এবং এ সব ঘটনায় কতজন সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন তার সঠিক তথ্য দিতে পারেননি সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে বুধবার পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘১৯৭৫-১৯৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে কতবার ক্যু, পাল্টা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে বা চেষ্টা করা হয়েছে? এ সব সেনা অভ্যুত্থান বা মিউটিনির কারণে কতজন সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের নাম, পদবী ও পরিচয় কী?’
জাহাঙ্গীর হোসাইনের এমন প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭৫-১৯৮১ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন সময়ে কিছু ক্যু, অভ্যুত্থান বা বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছে। অনেকদিন পূর্বের সংঘটিত এ সব ঘটনাবলীর তথ্য একীভূত করা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নৌ ও বিমানবাহিনীতে কোনো ক্যু বা অভ্যুত্থান হয় নাই। তবে ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসে নৌবাহিনীতে এবং ১৯৭৫ সালে ৩ নভেম্বর ও ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিমানবাহিনীতে স্থানীয় বিদ্রোহ হয়েছিল।’
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে সংঘটিত ক্যু বা অভ্যুত্থানে বেশ কিছু ব্যক্তিকে প্রাণ দিতে হয়েছে। নৌবাহিনীতে স্থানীয় বিদ্রোহের কারণে লে. সোলাইমান নিহত হয়েছিলেন। এ ছাড়াও ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরে বিমানবাহিনীতে সংঘটিত স্থানীয় বিদ্রোহে ১১ জন নিরস্ত্র অফিসার নিহত হয়েছেন।’
মোয়াজ্জোম হোসেন রতনের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর এক লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে ৯টি দেশে পরিচালিত ৯টি মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সাত হাজার ৮৩ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছে। সম্প্রতি এক হাজার ৪২০ জন শান্তিরক্ষীকে নতুন মিশন মালিতে মোতায়েন করা হয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ বর্তমানে সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend