ডিআরইউর সাংগঠনিক সম্পাদক নোমানীর পদত্যাগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুরসালিন নোমানী (ডিআরইউ) পদত্যাগ করেছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ পদত্যাগের কথা জানান। কী কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন তার বিস্তারিত স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন।
নিচে মুরসালিন নোমানীর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু দেওয়া হল-
ডিআরইউ’র সম্মানীত সদস্যদের প্রতি খোলা চিঠি
নোমানীর ডিআরইউ সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ
সুপ্রিয় সদস্য
আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনের ২০১৩ সালের কার্যনির্বাহী কমিটিতে সম্মানীত সদস্যদের ভোটে আমি মুরসালিন নোমানী প্রথম কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হই। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদের প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হই। বিগত দু’বছর আমার প্রাণপ্রিয় এই সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ নিষ্টা ও সততার সঙ্গে পালনের চেষ্টা করেছি। সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে জ্ঞানত কোনো অন্যায় কাজ হয়ত করিনি। তার পরও আমার কোনো আচরণ ও কাজে সংগঠনের কোন সদস্য কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি এই সংগঠনের উন্নয়নের জন্য আগেও কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও সংগঠনের সঙ্গে আছি ও থাকব।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী নতুন সদস্য প্রদানের জন্য গঠিত বাছাই কমিটির আহ্বায়ক সাংগঠনিক সম্পাদক। সেই হিসেবে আমি মুরসালিন নোমানী এই কমিটির আহ্বায়ক। এই কমিটির অন্য সদস্য হলেন- সৈয়দা লুৎফা শাহানা, হাসান জাহিদ তুষার, মঈন উদ্দীন খান, পিনাকী তালুকদার, মানিক মুনতাসির ও পারভিন সুলতানা কাকন।
আমার জানামতে, সংগঠনের সদস্য পদ পাওয়ার জন্য এবার ৬ শতাধিক ফরম জমা পড়ে। এরমধ্য থেকে বাছাই কমিটি গত ১৩ নভেম্বরের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ৪৭ জনকে স্থায়ী ও ৯৮ জনকে সহযোগী সদস্য হিসেবে দেওয়ার জন্য প্রাথমিক সুপারিশ করে। ছয় শতাধিক আবেদনকৃত ফরমের মধ্য থেকে সদস্য হিসেবে যাদের নাম সুপারিশ করা হয়নি, তাদের মধ্যে এখনো অন্তত ১০০ বা তার বেশি সদস্য পদ পাওয়ার জন্য গঠনতান্ত্রিকভাবে যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। যোগ্য যেসব প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা হয়নি তাদের ফরম কমিটি বাতিল করেনি এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি নৈতিকতার প্রশ্নে তারা অযোগ্য এটা বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে কমিটির সীমাবদ্ধতার কথা সকলকে বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ রইল। যারা সদস্য পদ পাননি তারা বাছাই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আমার উপর ব্যক্তিগতভাবে রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বা দুঃখ পেয়েছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।
এখানে আমি বলতে চাই, সদস্য পদ পাওয়ার যোগ্য অনেক সংখ্যক প্রার্থীকে সীমাবদ্ধতার কারণে সদস্য হিসেবে সুপারিশ না করতে পারার যন্ত্রণা বা অসহায়ত্ব আমাকে তীব্র কষ্ট দিয়েছে। কমিটির সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক যোগ্য, যাদের সুপারিশ করতে পারিনি তাদের কাছে আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আশা করি তারা আমাদের সীমাবদ্ধতা বুঝবেন। এছাড়া আমাদের সম্মানীত সদস্যদের মধ্য থেকে কোনো কোনো প্রার্থীর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত অনুরোধ আমাকে মারাত্মক বিব্রত করেছে। আবার বাছাই কমিটির সুপারিশকৃতদের মধ্যে ব্যক্তিগত অনুরোধের প্রার্থীরা যখন আসেনি তারা আমার বা কমিটির উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আবার আনঅফিসিয়ালি কাউকে কাউকে মেম্বরশিপ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন, কিন্তু তাদের মধ্য থেকে অনেকেই যোগ্য, তাদের সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে, তখন অনুরোধকারীরা আমার উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমার ব্যক্তিগত মতামত, সদস্যপদ পাওয়ার জন্য যারা আবেদন করেছেন, যারা যোগ্য তাদের সকলকে সদস্য পদ দেওয়ার পক্ষে আমি। একদিকে বর্তমান সদস্যদের সংগঠনে বেশি সংখ্যক সদস্য না দেওয়ার মতামত, অপরদিকে আবেদন ফরম পূরণকৃত যোগ্য প্রার্থীদের সদস্যপদ না পাওয়ার ক্ষোভ বা দুঃখ আমাকে প্রকৃত অর্থে ‘ফাটা বাঁশে’ পড়ার মতো অবস্থায় ফেলেছে। তবে আমি নৈতিকভাবে বিশ্বাস করি জেনেশুনে কোনো অন্যায় কাজ আমি বা কমিটি করিনি। এবার আসি সুপারিশকৃতদের মধ্যে তালিকায় সামান্য ভুল-ত্রুটি হয়েছে বলে অনেক সদস্য জানিয়েছেন। একটি নাম দুবার এসেছে এবং ভুল করে একটি নাম চলে এসেছে। এই ভুলের দায় কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। তবে এখানে বলে রাখা ভাল, আমরা (বাছাই কমিটি) যে সুপারিশ করেছি তা প্রাথমিক সুপারিশ। এটি চূড়ান্ত তালিকা নয়। আগেই উল্লেখ করেছি, প্রকাশিত তালিকায় কোনো ভুল-ত্রুটি বা মতামত বা সুপারিশ বা অভিযোগ বা আপত্তি থাকলে সদস্যরা তা জানানোর সুযোগ তো পাচ্ছেন। অভিযোগ বা আপত্তি শোনা বা জানার জন্যই তো এই তালিকা প্রকাশ্য স্থানে গঠনতান্ত্রিক নিয়মানুসারে টানানো হয়েছে। সম্মানীত সদস্যরা যে অভিযোগ বা ত্রুটি বা ভুলগুলো তুলে ধরেছেন তা বিবেচনায় নিয়ে সংশোধন করে চূড়ান্ত করার সুযোগ তো রয়েই গেছে। আমার আশা আমাদের সম্মানীত সদস্যবৃন্দ বিষয়টি সুবিবেচনায় নেবেন।
এবার আসি আমাদের বর্তমান সদস্যদের প্রতিক্রিয়ার কথায়, স্থায়ী ৪৭ ও সহযোগী ৯৮ মিলিয়ে এবার ১৪৫ জনকে সদস্য পদ দেওয়ার জন্য যে সুপারিশ করা হয়েছে তাতে তারা সংখ্যা নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, অনেকেই ফোন করে বা ব্যক্তিগতভাবে তা আমাকে জানিয়েছেন।
এখানে আমাদের সম্মানীত সদস্যদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ২০১৩ সালের বাছাই কমিটি ১০০ স্থায়ী এবং ৪৯ সহযোগী মিলিয়ে মোট ১৪৯ জনকে সদস্য পদ প্রদানের সুপারিশ করেছিল।
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ,
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, বাছাই কমিটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সুপারিশকৃতদের ডিআরইউ গঠনতন্ত্রের ০৬ ধারা অনুযায়ী গঠিত বাছাই কমিটির সভা গত ১৩ নভেম্বর সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া ৯ নভেম্বর ২০১৪সহ একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবার সদস্য পদ দেয়ার ক্ষেত্রে সুপারিশকৃত তালিকায় অবেদনপত্রে তাদের দেওয়া কর্মকাল উল্লেখ করা হয়েছে। আমি যতদূর জানি এর আগে কোনো সময় তালিকায় তা উল্লেখ করা হয়নি। এটা উল্লেখ করার প্রকৃত কারণ হলো কেউ যদি তিন বছর সাংবাদিকতা করে ৬ বছরের কথা লেখেন তাহলে আমাদের সদস্যরা তা লিখিত আকারে আমাদের কাছে অভিযোগ করবেন।
বাছাই কমিটির সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে গঠনতন্ত্রের ০৩(১) ধারা অনুযায়ী ৪৭ জনকে স্থায়ী সদস্য পদ প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গঠনতন্ত্রের ০৩(২) ধারা অনুযায়ী সহযোগী সদস্য পদ প্রদানের জন্য ৯৮ জনকে সুপারিশ করা হয়। এই তালিকা গত ১৬ নভেম্বর ডিআরইউ কার্যালয়ের প্রকাশ্য স্থানে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ০৪(গ) ধারা অনুযায়ী সংগঠনের সম্মানীত সদস্যবৃন্দ সদস্য হিসেবে সুপারিশকৃতদের বিষয়ে কোন মতামত বা অভিযোগ বা আপত্তি থাকলে তা তালিকা প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ডিআরইউ কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রাপ্ত মতামত বা আপত্তি বিবেচনাসহ সুপারিশকৃতদের সদস্য পদ প্রদানের বিষয়টি গঠনতান্ত্রিকভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় চূড়ান্ত করার বিধান রয়েছে। এই তালিকার বাইরে থাকা বাকি ত্রুটিমুক্ত আবেদনগুলো পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করা হবে বলেও সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সময় এখনও রয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, অনেক সদস্য সরাসরি মৌখিকভাবে বা ফোন করে সুপারিশকৃতদের বিষয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আমার দৃষ্টিতে এনেছেন, আমি তাদের গঠনতান্ত্রিক নিয়মানুসারে লিখিতভাবে অভিযোগ বা মতামত বা সুপারিশ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। অনেকেই বাছাই কমিটিকে কঠোর সমালোচনা করলেও লিখিতভাবে অভিযোগ করতে রাজি হননি, আবার এখন পর্যন্ত কেউ কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ বা মতামত জানিয়েছেন। এখানে ডিআরইউ’র সদস্যদের অভিমত, কম সংখ্যক সদস্য দেয়ার পক্ষে। তাদের যুক্তি, ডিআরইউ’র বর্তমান যে অবকাঠামোগত সুবিধা তাতে বেশি সংখ্যক সদস্য দিলে তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দেয়া সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে না। আবার সদস্য পদের জন্য যে বিপুলসংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন তাদের প্রত্যাশা ডিআরইউর মতো একটি পেশাদার সংগঠনের সদস্যপদ প্রাপ্তি। আমাদের সম্মানীত সদস্যদের অভিমত হলো, অবকাঠামোগত সুবিধার কারণে বাস্তবতা হলো এক সঙ্গে যেমন আড়াই’শ জনকে সদস্য পদ দেয়া সম্ভব নয়, আবার যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দেয়াও সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিরোধী হবে না!
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ,
আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির বিগত ৩ নভেম্বরের সভায় সংগঠনের কয়েকজন কর্মকর্তা অবকাঠামোগত অসুবিধার কথা উল্লেখ করে চলতি বছর কোন সদস্য পদ না দেয়ার পক্ষে তাদের ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরেন। তবে কমিটির অধিকাংশ কর্মকর্তা ও সদস্য এই মতামতের সঙ্গে একমত পোষণ করেননি। সাংগঠনিক সম্পাদক ওই সভায় ব্যক্তিগতভাবে মতামত ব্যক্ত না করলেও কমিটির কেউ কেউ বাইরে গিয়ে অপপ্রচার করেছেন যে, কমিটির সবাই নতুন সদস্য পদ দেয়ার পক্ষে থাকলেও সাংগঠনিক সম্পাদক মুরসালিন নোমানী সদস্য দেয়ার বিপক্ষে রয়েছেন। এ ধরনের অপপ্রচার আমাকে মর্মাহত ও ব্যথিত করেছে।
সুপ্রিয় সদস্য,
আমি সব সময় গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করতে বিশ্বাসী, আমার কোন ভুল হলে কেউ ধরিয়ে দিলে তা সংশোধনের চেষ্টা করি। কিন্তু ভুল না করলে সেই দোষ যদি আমাকে দেয়া তা কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারি না, এটা আমার ব্যক্তিগত চরম অযোগ্যতা বললেও বলতে পারেন।
সুপ্রিয় সদস্য,
আমরা সবাই জানি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি গঠনতান্ত্রিকভাবে অরাজনৈতিক একটি সংগঠন, সংগঠনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার কোন সুযোগ এখানে নেই। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি সব মতাদর্শের মানুষকে ধারণ করে আসছে। প্রত্যেক মানুষই কোন না কোন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। সেই হিসেবে আমারও কোন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস বা দুর্বলতা আছে বা থাকতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। আমি নির্মোহভাবে বলতে চাই, এই সংগঠনে কার্যনির্বাহী কমিটিতে পর পর দু’বছর দায়িত্বপালন কালে কোন অবস্থাতেই সংগঠনের কোন কাজে বিন্দুমাত্র নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করিনি, ঘটাইনি এবং নিজের বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। প্রিয় সদস্য, আপনারা এবার সদস্য হিসেবে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের তালিকা চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে দেখতে পারবেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুল ও ভিত্তিহীন। যারা এসব অপপ্রচার বা মনগড়া কথা বলছেন তাদের বক্তব্য দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সংগঠনের সদস্যদের আস্থার কারণে প্রথমবার ২০১৩ সলের কমিটিতে আমি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে প্রথম সদস্য নির্বাচিত হবার পর, দ্বিতীয়বার নির্বাচনেও আমি যে পদে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি সেই সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলাম। সবার সাথে সার্বজনীন আচরণ করার চেষ্টা করেছি। আমাকে চরমভাবে অপছন্দ করেন এমন ব্যক্তিও আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতি, নারী বিষয়ক কোন ঘটনা কিংবা কারও সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ বা সংগঠনের দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে কাজ করেনি এমন অভিযোগ আনতে পারবেন না।
সুপ্রিয় সদস্য
ডিআরইউ থেকে আমার ব্যক্তিগতভাবে নেয়ার কিছু নেই, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি সংগঠনের কাজ করে সদস্যদের কল্যাণে কিছু করার। আমি ডিআরইউ’র প্রত্যেক সদস্যের কাছে ঋণী ও কৃতজ্ঞ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার মাধ্যমে সম্মানীত করায়।
আমাদের কোন কোন সদস্য আমার বিরুদ্ধে সদস্যপদ সুপারিশের তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনায় নেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করায় এই পদে আর থাকা সমীচীন বলে মনে করছি না। নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতার স্বার্থে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। এজন্য কার্যনির্বাহী কমিটিকে তদন্ত কমিটি গঠন করে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনায় নেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন হওয়ায় আমি আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ডিআরইউ’র গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। গঠনতান্ত্রিক বিধানমতে, কার্যনির্বাহী কমিটিকে আমার এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। এই পদত্যাগপত্র যথাযথ নিয়ম অনুসারে করা হয়েছে এবং তা অফিসিয়াল নিয়মানুসারে ডিআরইউ অফিস তা গ্রহণ করেছে।
আমাকে পর পর দুবার নির্বাচনে ভোট দিয়ে বিজয়ী করায় সম্মানীত সব সদস্যের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে কমিটির বর্তমান সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ কমিটির সকলকে বিগত সময়ে এক সঙ্গে কাজ করার কারণে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমি সর্বোতভাবে আশা করি ডিআরইউ তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।
সবাইকে ধন্যবাদ, ভাল থাকুন সব সময়।’