তরুণ প্রজন্মের সামনে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার আহবান প্রধানমন্ত্রীর
আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপসংস্কৃতি যেন আমাদের ঘাড়ে চেপে না বসতে পারে, সেজন্য সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘জলসাঘরের’ প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তির আসায় এখন সব কিছুই এখন ডিজিটাল। আমাদের সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রেও পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। পুরোনো ঐতিহ্য আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। কিন্তু শুধু পুরোনো জিনিস ধরে রাখবো, সামনে এগোবো না- এ চিন্তাটাও বাদ দিতে হবে। এ চিন্তা আমাদের এগোতে দেবে না। নইলে সেই ‘জলসা ঘর’-এর মতো আস্তে আস্তে সব ধ্বসে ধ্বসে পড়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। কিন্তু শুধু পেটের ক্ষুধা মেটালে হবে না। মনের ক্ষুধাও মেটাতে হবে। সংস্কৃতি সাহিত্য চর্চা মানুষের মনের খোরাক যোগায়। সংস্কৃতি চর্চা মানুষের মনকে আরো বিকশিত করে।
তিনি বলেন, আমরা মানুষের পেটে খাবার নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন আর খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই। আমরা মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। আমরা সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্য নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতিকেও ধরে রাখতে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, এসব সংস্কৃতিকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না।
সংস্কৃতি একটি জাতির অস্তিত্বকে ধরে রাখে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, পল্লীকবি জসীম উদদীনসহ বরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।