রক্ত ছুঁয়ে শপথ গ্রহণ করতে হবে: মির্জা ফখরুল
ছাত্রদলের শহীদদের জন্য এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে আমাদের নিজেদের রক্ত ছুঁয়ে শপথ গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রদল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমরা ব্যথিত ও ক্ষুদ্ধ। কারণ সামনে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন দেখা দেবে। তাই ক্ষমতাসীনদের নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধে যাননি এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেননি- তারেক রহমানের এই বক্তব্যের সাথে এক মত পোষণ করে তিনি বলেন, এ কে খন্দকার তার বইয়ে লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধের জন্য আওয়ামী লীগের কোন প্রস্তুতি ছিল না।
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, আগে ইতিহাস জানেন এবং পড়েন তারপর তারেক রহমানের বক্তব্য নিয়ে কথা বলেন। আর অযথা অন্ধের মত কথা বলবেন না।
তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরতে না পারে সে জন্য সরকার তার নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারেক রহমানকে শুধু গ্রেপ্তার নয় তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রও করেছিল। আর ওই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর সকল বাংলা ভাষাভাষীর আগামী দিনের সবচেয়ে প্রিয় ও গ্রহণযোগ্য দিশারি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি আওয়ামী লীগের মতো ভুয়া ও অলীক কথা বলেন না। তিনি ডকুমেন্ট নিয়ে কথা বলেন। ডকুমেন্ট দিয়েই তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য আওয়ামী লীগের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। অথচ তার বক্তব্যকে সত্য দিয়ে খণ্ডাতে না পেরে তারা (আওয়ামী লীগ) তাকে নিয়ে নানা রকম অশ্লীল ও অস্রাব্য ভাষায় বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
তারেক রহমান কখনও বাংলাদেশের কোনো নেতাকে নিয়ে কোনদিন কটূক্তি করেননি। তিনি টুঙ্গীপাড়ায় গেছেন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করতে। জয় যখন বাংলাদেশে আসেন তখন তিনি তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুল পাঠিয়েছিলেন। অথচ জয় তা গ্রহণ না করে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। কারণ এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। তারা অন্যকে সম্মান দিতে জানে না। তাদের মধ্যে কোনো সহনশীলতা নেই।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রাজিব আহসানের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, আন্তুর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, আসাদুজ্জামান রিপন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।