কলেজ অধ্যাপক-অধ্যক্ষকে “গরু” বললেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী
আবার আলোচনায় এলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। সম্প্রতি মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি ওই কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকদের “গরু” বলে সম্বোধন করেছেন।
তিনি নবম জাতীয় সংসদের এমপি থাকার সময়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘আমি এমপি ছিলাম। আমি কোনোদিন কলেজে আসিনি। কারণ এই কলেজে তখন যারা অধ্যাপক বা অধ্যক্ষ ছিলেন তারা গরু ছিলেন। তারা জানে না আমার পরিবারের কতটুকু কনট্রিবিউশন আছে এই কলেজে। তারা আমাকে ইগনোর করে এই কলেজের উন্নয়ন আরেকজনকে দিয়ে করে ফেলবে ভাবছিল। এটা অবাস্তব। সেইদিন আর নেই।’
একই সঙ্গে মন্ত্রী বর্তমান অধ্যক্ষ এবং ছাত্রছাত্রীর যথাযথ সম্মান দিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠায় যাদের অবদান ছিল তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বুধবার মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী তার বক্তব্যে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ছাত্রছাত্রীকে দেশের সেরা ছাত্রছাত্রী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি কলেজে খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চা বাড়ানোর তাগিদ দেন। মন্ত্রী বলেন, এই কলেজে একসময় ছাত্রলীগ ঢুকতে পারত না। এখন এই কলেজ ছাত্রলীগের ঘাঁটি। তিনি সাধারণ ছাত্রছাত্রীকে ছাত্রলীগের পতাকাতলে আসার আহ্বান জানান।
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহজাহান, মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দ ফজলুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফিরোজ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আবদুল মতিন, আওয়ামী লীগ নেতা এখলাছুর রহমান, সৈয়দ মুশতাক আলী প্রমুখ।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে একটি চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বাস, মুক্তমঞ্চ নির্মাণ, শহীদ মিনারকে আরও সুন্দর করে তৈরিসহ কলেজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
এছাড়া কলেজের নিয়মিত ফুটবল ও ক্রিকেট টিম তৈরি এবং সংস্কৃতিচর্চার জন্য যন্ত্রপাতিসহ একটি কক্ষ বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, সমাজকল্যাণমন্ত্রী এর আগে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে, জনসভায় ঘুমিয়ে পড়ে, প্রকাশ্যে সিগারেট খেয়ে এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে মিডিয়াসহ সারাদেশের মানুষের সমালোচনা এবং আলোচনায় এসেছিলেন।