ময়মনসিংহে আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : জেলার নান্দাইলে বৃহস্পতিবার রাতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনসুর ভূঁইয়া নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। এ ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
নিহত আবুল মনসুর ভূঁইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার বড় ভাই।
রাত পৌনে ১০টায় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম আবুল মনসুর ভূঁইয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সাব রেজিস্ট্রি অফিস মাঠে মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম গ্রুপের জনসভা চলছিল। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জনসভা থেকে বক্তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে প্রতিপক্ষ আনোয়ারুল আবেদীন তুহীন গ্রুপের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন।
মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনসুর ভূঁইয়াকে নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম গ্রুপের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন তুহীন গ্রুপের নেতাকর্মীদের বিরোধ চলছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় কপাল খোলে জেলা কৃষক লীগ নেতা তুহীনের। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন তুহীন। নির্বাচনের পর থেকে অস্তিত্বের লড়াইয়ের রাজনীতিতে উঠে-পরে লাগেন মেজর সালামের বিরুদ্ধে। গত ৬ মাস ধরে দু’গ্রুপের কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নেয়।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ফরাজী মৃত্যৃর খবর নিশ্চিত করতে পারেননি।
তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।