‘তারেক এলে ঢাকায় দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে তুলব’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুস্থ হয়ে শিগগিরই দেশে ফিরবেন। আসার পথে বিমানবন্দরে যাতে তিনি বাধার সম্মুখীন না হন, সে জন্য আমরা ঢাকায় দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে তুলব।’
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চত্বরের কড়ইতলায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ছাত্রদল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে ছাত্রদল।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন হলেও ব্যথায় মন ভারি হয়ে যায়। কারণ তিনি আমাদের মাঝে উপস্থিত নেই। তিনি অনেক দূরে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি নিজের ইচ্ছায় ফূর্তি করতে যাননি। তাকে ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয়েছে। সে কারণে তিনি মেরুদণ্ডের আঘাতে ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য তিনি সেখানে রয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছেন।’
আব্বাস বলেন, ‘তারেক রহমানকে সরকার ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের সব লোকজন আজকে ভয় পেতে শুরু করেছে। কারণ তিনি সত্য কথা বলেন। এটাকে আমি বিজয় মনে করি। তবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তারেক রহমানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আজকে যারা সন্ত্রাস, দুর্নীতি, হত্যা, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত আছে; ভবিষ্যতে তাদেরই বিচার হবে, শাস্তি হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-ছাত্রবিয়য়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এদিকে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রদল আয়োজিত শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় রাজধানীর দুই শতাধিক কোমল-মতি শিশু অংশ নিচ্ছে। বিকেলে আরেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে।
বিজয়ীদের নির্ধারণে বিচারক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক দেবাশীষ পাল, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল আজিজ ও সহযোগী অধ্যাপক ইসরাফিল রতন প্রামাণিক।
এ ছাড়া ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার (এনআরসি) নামক একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জীবনের তিন অধ্যায় নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী করা হচ্ছে।
সেখানে আড়াইশ ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। ছবিতে তারেকের আলোচিত ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগে তার ভূমিকা, বিভিন্ন কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড, দেশকে ডিজিটাল করার প্রথম উদ্যোগ, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে তার মেলামেশা, মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ নানা বিষয় তুলে আনা হয়েছে।
এ ছাড়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর কৈশোর বয়স থেকে ধীরে ধীরে রাজনীতিতে আগমন ও বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেফতার, গ্রেফতার পরবর্তী নির্যাতন, চিকিৎসার জন্য দেশত্যাগসহ বিভিন্ন পর্ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।