অবৈধ গর্ভপাতে কলেজছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : প্রেমিকের দেওয়া ওষুধে অবৈধ গর্ভপাত করতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এটি হত্যা বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বাড়ি জেলার গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামে। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান (২২) ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। একপর্যায়ে আচরণ সন্দেহজনক হলে তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেহেদী হাসান কৌশলে জোরপূর্বক ওই ছাত্র্রীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী ৩-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি মেহেদী হাসানকে জানানো হলে সে বাচ্চাটি নষ্ট করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে তিনটি বড়ি ও একটি তরল ওষুধের বোতল দিয়ে খেতে বলে। ওষুধ সেবনের পর ওই ছাত্রীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। শুক্রবার ভোরে তাকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে গৌরীপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী শেখ বলেন, ‘সামাজিক বিরোধ বা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’