৩ হাজারী ক্লাবে মুশফিক
৩ হাজারী ক্লাবের নতুন সদস্য হয়েছেন সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। শুক্রবার ম্যাচ শুরুর আগে মুশফিকের প্রয়োজন ছিল ৬০ রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৫ রানের ইনিংস খেলায় তার রান এখন ৩০০৫।
তাতেই বাংলাদেশী চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন তিনি। আগে থেকেই এই ক্লাবের সদস্য হয়েছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ আশরাফুল।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সাকিবের (৩৯৩৬)। পরের স্থানটিতে রয়েছে তামিম ইকবাল (৩৮২৯)।
এর পরই রয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল (৩৪৬৮) ও মুশফিকুর রহিম (৩০০৫)।
শুধু তাই নয়, দলের দুঃসময়ে সাকিব ও মুশফিক মিলে পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড ১৪৮ রানরে জুটি গড়েছেন। এর আগে পঞ্চম উইকেটে ১১৬ রানের জুটি ছিল এই দুজনের। ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই সাকিব এবং মুশফিক মিলে এই জুটি গড়েছিলেন। নিজেদেরটার জুটির সঙ্গে সাকিব-রকিবুল ১১৯ রানের পঞ্চম উইকেট জুটিও এদিনে ভেঙে দিয়েছেন মুশফিক-সাকিব মিলে।
শুক্রবার অবশ্য মুশফিক ৩ বার জীবন পেয়ে ৬৫ রানরে ইনিংস খেলেছেন। মুশফিক ব্যক্তিগত ৫৬ রানে নিশ্চিত আউট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন পানিয়াঙ্গার ভুলে। মিডঅফে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু বোলার নো বল করায় সেই যাত্রায় বেঁচে গেছেন। তাতে নিজের ইনিংসকে খুব বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি মুশফিক। এর আগে ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন । আউট হওয়ার আগে পানিয়াঙ্গারাকে খেলতে গিয়ে সলোমন মায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
বেশ কয়েকবার জীবন পেলেও দারুণ কিছু শট খেলেছিলেন মাত্রই ওয়ানডে অধিনাকত্বে সাবেক হওয়া মুশফিক। অধিনায়কত্ব ছেড়ে কিছুটা ভারমুক্ত ছিলেন তিনি। ভারমুক্ত হয়েই মাঠের লড়াইয়ে নেমেছেন প্রায় ৪ বছর পর। অধিনায়কত্ব ছেড়ে মুশফিক কেমন খেলেন এটা দেখার প্রত্যাশায় অনেকেই ছিলেন। তবে দলের সেরা ব্যটাসম্যানদের মধ্যে মুশফিককেও ধরা হয়। মুশফিক নিজের গুরুত্ব প্রমাণ করেছেন।