ঘরের শত্রুই বিভীষণ
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্র রাজাপাকশের ঘরের শত্রুই এখন বিভীষণে পরিণত হয়েছে। তার দলের মহাসচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেইথ্রিপালা সিরিসেনা এখন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজপাকশের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়বেন মেইথ্রিপালা সিরিসেনা। এ লক্ষ্যে শুক্রবার রাজাপাকশের ফ্রিডম পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন সিরিসেনা।
রাজধানী কলম্বোয় এক সংবাদ সম্মেলনে সিরিসেনা বলেন, ‘বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় ইউএনপিকে আমি ধন্যবাদ দিচ্ছি।’ তিনি এ সময় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও তিন মন্ত্রী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট কুমারাতুঙ্গা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজাপাকশে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। আর এটা করতে হলে তাকে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশটির তামিল বিদ্রোহীদের সঙ্গে গৃহযুদ্ধ অবসানের উদ্যোগ নেন পাকশে। ২০০৯ সালে ৩৭ বছর ধরে চলা সেই গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে। এ নিয়ে দেশটিতে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
তবে সমালোচকরা বলছেন, ‘তিনি ধীরে ধীরে স্বৈরশাসক হয়ে যাচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে সিরিসেনা আরও বলেন, ‘দেশ একনায়কতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে।’ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও আনেন তিনি। রাজাপাকশের ভাই চমল রাজাপাকশের প্রতি ইঙ্গিত করে সিরিসেনা বলেন, ‘গোটা অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থা একটি পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।’
চমল রাজাপাকশে দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কোনো নির্ধারিত তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : আলজাজিরা।