শাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় তল্লাশি রিভলবার ও ১৯ রামদা উদ্ধার, ছাত্রলীগের ২৭ কর্মী আটক
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় তল্লাশি চালিয়ে চার রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার, দুটি চাকু ও ১৯টি রামদা উদ্ধার করেছে জালালাবাদ থানা পুলিশ।
সংঘর্ষের ওই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্রলীগের ২৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটনের জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিক আহমদ বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে এ মামলা দায়ের করেন।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতার হোসেন দ্য রিপোর্টকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, শুক্রবার ভোরে সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ চার রাউন্ড গুলিভর্তি একটি রিভলবার, দুটি ছোরা ও ১৯টি রামদা উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া দুপুর পর্যন্ত পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের ২৭ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে পিযুষ গ্রুপের অনিক রয়েছেন। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
সিলেট মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘অভিযান অব্যাহত আছে।’
উল্লেখ্য, ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় তিন ছাত্রলীগকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন দাস নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রী শেখরসহ আহত হন আরও ১০ জন।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দুপুরে সিন্ডিকেটের জরুরী বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার মধ্যে সব ছাত্রকে হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে মেয়েদের হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারুক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।