ফেনক্সের বিনিয়োগে উচ্ছ্বসিত সজীব ওয়াজেদ জয়
ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও শেখ হাসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল অনলাইন পোর্টাল প্রিয়.কমে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ভিত্তিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ‘ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনকরপোরেশন’ এর বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর তাঁর নিজের ফেসবুক পেজে এই আশাবাদ ব্যক্ত করলেন জয়।
তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য কিছু চমৎকার খবর রয়েছে। এই প্রথমবারের মত সিলিকন ভ্যালির একটি উদ্যোক্তা তহবিল বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এটা ছিলো আমার বাংলাদেশকে তথ্য প্রযুক্তিখাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তরের একটি স্বপ্ন।’
সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ট্যাটাস
তিনি আরও বলেন, ‘এ হলো সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেরই শুরু। বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে এটা আমাদের জন্য এক ভীষণ গর্বের দিন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল। প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগের জন্য বেছে নিয়েছে প্রিয়.কম-কে। আর এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানে প্রথমবারের মত বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে বিদেশি কোন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান।
এ উপলক্ষ্যে সোমবার (২৪ নভেম্বর) ডেইল স্টার ভবনে এস এ মাহমুদ সেমিনার হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মাঝে ছিলেন ফেনক্স-এর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট কাইল ক্লিঙ ও পার্টনার আবুল নুরুজ্জামান, জনপ্রিয় অভিনেতা আফজাল হোসেন, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোনিয়া বশির কবির, ‘সাপ্তাহিক’র সম্পাদক গোলাম মোর্তজাসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন প্রিয়.কম এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকারিয়া স্বপন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনকরপোরেশন এবং প্রিয় লিমিটেড-এর পারস্পরিক সহযোগিতা বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে প্রভাবিত করবে এবং এদেশীয় স্টার্টআপগুলোকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি উদ্যোগগুলো সিলিকন ভ্যালির বিভিন্ন উদ্ভাবনগুলোর সাথেও পরিচিত হয়ে উঠবে এবং এর ফলশ্রুতিতে এসব উদ্যোগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন উদীয়মান বাজারে প্রবেশ করতে পারবে ও বৈশ্বিক বাজারে নেতৃত্ব দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।