জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রাণী ও পাখি সংখ্যা ২৬২২টি
জাতীয় চিড়িয়াখানায় ১৩৮ প্রজাতির মোট দুই হাজার ৬২২টি প্রাণী ও পাখি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক।
দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে সোমবার সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কাজী রোজীর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, চিড়িয়াখানায় পশু পাখির খাদ্য নিয়ন্ত্রণের এবং সরবরাহের কোনো আইনসিদ্ধ স্বীকৃত নীতিমালা না থাকলেও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বৈজ্ঞানিক পন্থা অবলম্বন করে খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সরবরাহ করে।
মহিলা আসন ৩৪ এর সংসদ সদস্য মিসেস আমিনা আহমদের এক প্রশ্নের জবাবে ছায়েদুল হক জানান, দেশের মিঠা পানিতে ২৬০ প্রজাতির মাছ ও চিংড়ি রয়েছে। মিঠা পানির মাছ সংরক্ষণ ও বংশ বৃদ্ধির জন্য সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মো. ফরিদুল হক খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবৈধ উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনার জন্য গত ১-১০-২০১৪ তারিখে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্তৃক জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে নজরদারি অব্যাহত আছে।’
নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের মৎস্য সম্পদের ঘাটতি মোকাবেলায় মানসম্মত রেণু ও পোনা সরবরাহের লক্ষ্যে বর্তমানে দেশে ৭৬টি সরকারি হ্যাচারি ও ৮৮৭টি বেসরকারি হ্যাচারি পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে দেশে মোট রেণুর চাহিদা ছিল ৪০০ মেট্রিক টন। সরকারি ও বেসরকারি হ্যাচারিতে উৎপাদন হয়েছে ৪৫৯ দশমকি ১১ মেট্রিক টন। এ ছাড়া ২০১৩ সালে মোট পোনার চাহিদা ছিল ৯৫০ কোটি আর উৎপাদন হয়েছিল ৯০১ কোটি ৫০ লাখ।’
বর্তমানে যে পরিমাণ উৎপাদন হয় তা দেশের মৎস্য চাষীদের চাহিদা পূরণ করে বিধায় নতুন করে কোনো হ্যাচারি নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের নেই বলেও জানান তিনি।