কোথাও প্রশ্ন হুবহু ছাপিয়ে দিচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি: গণশিক্ষা মন্ত্রী
জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের কাছে খবর নিচ্ছি। কোথাও প্রশ্ন হুবহু ছাপিয়ে দিচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ফেসবুক ও ইন্টারনেটে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা সাংবাদিক ও অন্যান্য মাধ্যমে খবর পাচ্ছি। তবে ৬৪ জেলা থেকে অফিসিয়ালি কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে কিছু জানায়নি।
তিনি বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এসব কাজ করছে। কী সেই উদ্দেশ্য তারাই তা ভাল বলতে পারবে। ভালভাবে পরীক্ষা গ্রহণে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা চাইছে না ভালভাবে পরীক্ষা হোক। যদি চাইতো তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে সরকারকে সাহায্য করত।
গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ইংরেজি পরীক্ষার দিন কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে বাংলা পরীক্ষা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোন কোন জায়াগার ষাট শতাংশ ও সত্তর শতাংশ প্রশ্নপত্র কমন পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এটা প্রশ্নপত্র না সাজেশন তা জানি না।
সাংবাদিককের কাছে আসা একটি প্রশ্নে মঙ্গলবারের পরীক্ষায় শতভাগ মিল পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এই পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশ থেকে প্রতিবেদন নিতে হবে। পাবলিক পরীক্ষা হুট করে বাতিল করতে পারি না। সারাদেশে প্রভাব আছে কি-না দেখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে বিজি প্রেসে প্রশ্ন ছাপাচ্ছি, সেখান থেকে নিরাপত্তা দিয়ে প্রশ্নপত্র উপজেলায় পাঠানো হচ্ছে, কীভাবে কোথা থেকে কারা এসব করছে তা দেখতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ির সমাপনীতে মোট ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৬৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।