প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ !!!
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (প্রাশিস) পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে, তাকে ‘গুজব’, ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘তথ্য বিভ্রাট’ বলে আখ্যায়িত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রশ্ন ফাঁসের এই খবরকে ‘হীন, অসত্য, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সন্দেহমূলক’ দাবি করে মন্ত্রণালয় এ ধরনের সংবাদ প্রচার না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়। এ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় স্বাক্ষর করেন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবছরের মত ২০১৪ সালের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২৩ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে শুরু হয়েছে। এতে বলা হয়, এ বছর প্রায় ৩১ লাখ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় লক্ষ্য করছে যে, পরীক্ষা শুরুর পরদিন থেকে অদ্যাবধি বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যম এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। প্রচারিত প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি মন্ত্রণালয় প্রথম থেকে গুরুত্বসহকারে বিচার বিশ্লেষষণ ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমে প্রশুপত্র ফাঁস সংক্রান্ত সংবাদে জনমনে উদ্বেগ ও সৃষ্ট অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি অনুধাবন করে বুধবার মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছেন। ফেসবুকে প্রাপ্ত প্রশ্ন বা সাজেশন এবং এ যাবত অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পুংখানুপুংখভাবে মিলিয়ে দেখা হয়। কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে এ ধরনের ঘটনার উদ্ভব কিনা তাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। কিন্তু সার্বিক পর্যালোচনা শেষে প্রতীয়মান হয় যে, ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রশ্নের সাথে সমাপনী পরীক্ষায় সরবরাহকৃত প্রশ্নের কোনো সামঞ্জস্য নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা। এ পরীক্ষার সাথে লাখ লাখ কোমলমতি শিক্ষার্থীর ভাগ্য এবং অভিভাবকদের স্বার্থ জড়িত। বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে চলমান সমাপনী পরীক্ষা সম্পর্কে এ ধরণের হীন, অসত্য, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সন্দেহমূলক সংবাদ প্রচার না করা এবং শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সর্বস্তরের জনগণ ও গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানানো হল। এ ব্যাপারে অভিভাবকদেরও অহেতুক উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়।