‘ইসলামবিরোধী ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে আ’লীগ’
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, দেশে বর্তমানে ইসলামবিরোধী তৎপরতা ও সন্ত্রাস মহামারির রূপ ধারণ করেছে। আর এই নাস্তিক্যবাদী ও সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। মূলত আওয়ামী লীগ ইসলাম বিরোধী অপশক্তি ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানানো হয় শিবিরের প্রচার বিভাগ থেকে।
এতে বলা হয়, রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ছাত্রশিবির আয়োজিত সদস্য প্রার্থী সমাবেশে বুধবার বিকেলে শিবির সভাপতি এসব কথা বলেন। শিবির সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক নাভিদ আনোয়ার, সাহিত্য সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, শিক্ষা সম্পাদক মো. মোবারক হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তারেক মনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—আব্দুল জব্বার বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। স্বাধীনতার পরও আওয়ামী লীগ নিজ দলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলাম শব্দটি বাদ দিয়েছিল। চালু করেছিল কুফরী মতবাদ ধর্মনিরপেক্ষতা। এবারও ক্ষমতায় আসার পর ইসলামপ্রিয় ছাত্রজনতা, নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও আলেম ওলামাদের উপর গণহত্যা, ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অবিচারের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্র, ইসলামবিরোধী আইন প্রণয়ন, নাস্তিকদের লালন এবং মন্ত্রী-এমপিদের লাগামহীনভাবে ইসলামবিরোধী বক্তব্যের মাধ্যমে সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ইসলামপ্রিয় ছাত্রজনতার উপর জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে সরকার। আবার জনগণকে ধোকা দিতে ইসলামের জন্য মায়াকান্নাও করছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আওয়ামী লীগ নরঘাতদকের দলে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আব্দুল জব্বার। দলীয় সন্ত্রাসীরা প্রতিদিনই নিজ ও প্রতিপক্ষ দলের নেতাকর্মীদের রক্তে বাংলার জমিনকে রঞ্জিত করছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের না ধরে উল্টো জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা, জুলুম, নির্যাতন করছে। অবৈধ সরকারের সর্বগ্রাসী বিভৎসতায় জনগণ বারবার আঁতকে উঠছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিবির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আব্দুল জব্বার বলেছেন—দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। জালিমের দল জমিন থেকে ইসলামকে নির্মূল করতে চাইবে এটাই ঐতিহাসিক বাস্তবতা। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের বসে থাকার সুযোগ নেই। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।