ঠাণ্ডা প্রতিরোধে ৫ খাবার
শীতের আরাম ও আলসেমি এরই মধ্যে আমাদের শরীর-মন টের পাচ্ছে। এ আরামের সঙ্গে ব্যারামেরও সম্পর্ক রয়েছে। একটু এদিক ওদিক হলে ঠাণ্ডা ও ফ্লু জাতীয় সমস্যায় ভুগতে পারেন।
এ সময়ের সঙ্গে তাল রেখে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে ভাল হয়। যেমন- চর্বিহীন আমিষ, আঁশযুক্ত খাদ্য শস্য ও কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। সঙ্গে দরকার পর্যাপ্ত ঘুম ও হালকা ব্যায়াম। সাথে থাকুক হালকা কাজের চাপ। এগুলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় দারুণ ভূমিকা রাখে, যা ঠাণ্ডা বা ফ্লু’কে দূরে রাখবে। এমনকি এ সব সমস্যায় দ্রুত মুক্তিও দেবে। এ ছাড়া শীতের সবজি আপনাকে দেবে রোগ প্রতিরোধের বাড়তি ক্ষমতা।
এবার ঠাণ্ডা প্রতিরোধী ৫টি খাবারের নাম ও তাদের গুণাগুণ জেনে নিন-
গাজর : এতে আছে প্রচুর পরিমাণ বেটা ক্যারেটিন। গাজর সুপ বা স্টু’র বেস হিসেবে দারুণ কাজ করে। এতে আছে ভিটামিন এ। গাজর ঠাণ্ডা ও ফ্লু’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এ ছাড়া ঠাণ্ডাজনিত ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
সবুজ চা : এটি খুবই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সবুজ চায়ে ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। ঠাণ্ডার দিনে ৩-৫ কাপ চা পান করুন। যা আপনাকে এ সময়ের রোগ থেকে দূরে রাখবে।
মাশরুম : মাশরুম শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য উপকারী। এটি শীতকালের ঠাণ্ডাজনিত রোগ ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে।
রসুন : এটি জ্বর ও ঠাণ্ডা প্রতিরোধী উপাদান হিসেবে খুবই পরিচিত। রসুন বিশেষ ধরনের এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা যকৃতকে রক্ত থেকে বিষাক্ত দ্রব্য দূরে সাহায্য করে। কাঁচা রসুন আপনাকে দিতে পারে বেশি উপকার।
মধু : শীতজনিত ঠাণ্ডা ও জ্বর থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ পথ্য হলো মধু। এটি ব্যাকটিরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধ করে। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে মধু সেবন ভাল ফল দেয়। যদি এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন— তবে বেশি উপকার পাবেন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।