৯ মাস পর প্রকাশ্যে মওদুদ
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল করা হবে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ‘সাংবাদিক স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এ আলোচনার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফউইজের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম আব্দুল্লাহ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বিএফইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান নাম ঘোষণা করার সময় বলেন, নয় মাস পর কোনো আলোচনা সভায় আসলেন মওদুদ আহমদ। এটাই তার প্রথম সভা।
জবাবে মওদুদ বলেন, ‘অনেক দিন আমরা নীরব। আমি কোনো সভার কথা বলছি না। দেশে রাজনীতি নেই। এই জন্যই আমি কথা বলতে অনুপ্রাণিত হয়নি। কিন্তু আজ সাংবাদিকদের অধিকারের প্রশ্ন আসায় আলোচনায় এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার সব সময় গণমাধ্যমকে ও প্রতিবাদী কণ্ঠকে ভয় করে। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে যারাই হাত দিয়েছে তাদের হাত পুড়ে গিয়েছে। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকার ফলেই ইতোপূর্বে সকল আন্দোলন সফল হয়েছিল। এখনও যদি গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা এক হয় তাহলে অধিকার আদায়ের চলমান এ আন্দোলন সফল হবেই।’
বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘দল ক্ষমতায় গেলে টিভি ও সংবাদপত্র কোনো অজুহাতে বন্ধ হবে না। কোনো সাংবাদিককে সংবাদের কাজের জন্য জেলে যেতে হবে না। বিএনপি ভিন্ন ধারার সরকার গঠন করবে। অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে।’
মওদুদ বলেন, যে সকল প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রকে উজ্জীবিত করে সে সকল প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়া হবে। তারমধ্যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংসদে বিরোধী দলকে প্রাধান্য দেওয়া, দুদক, পিএসসি ও নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে সংগ্রাম চলছে। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে একমাত্র খালেদা জিয়াই নেতৃত্ব দিতে পারে। তার নেতৃত্বে সংগ্রাম সফল হতে বাধ্য।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জারুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।