‘পরকীয়ার জেরে টুনিখ্যাত লোপাকে হত্যা করা হয়েছে’
হুমায়ূন আহমেদের এইসব দিনরাত্রি নাটকের ‘টুনি’ চরিত্রের অভিনেত্রী নায়ার সুলতানা লোপা আত্মহত্যা করেনি, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার মা রাজিয়া সুলতানা।
ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) কার্যালয়ে শুক্রবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি।
রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘পরকীয়ার জের ধরে লোপার মাদকাসক্ত স্বামী আলী আমিন তাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্টটিও বদলে দিয়েছে। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পুনরায় ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।’
মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচার চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি একজন নারী ও মা। দেশের প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী ও মা। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচার যেন পাই।’
লোপাকে বিভিন্ন সময় তার স্বামী ও তার পরিবার মানসিক নির্যাতন করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘লোপার স্বামীর সঙ্গে অনেক নারীর সম্পর্কও ছিল। তাই সে লোপাকে মেনে নিতে পারছিল না। ঘটনার দিনও লোপার শ্বাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া হয়। এই ঘটনার জেরে সে লোপাকে হত্যা করে।’
পরিকল্পিতভাবে এই হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘হত্যার আগেই আলী বাচ্চাদের বলেছিল তাদের মা সুইসাইড করবে। তাদের মা না থাকলে তারা ভালো থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘২০০০ সালে আলীর সঙ্গে লোপার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই লোপার উপর নানা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার উপর স্বামী ছিল মাদকাসক্ত। এরই মধ্যে সে দুই সন্তানের মা হওয়ায় সংসার ছেড়ে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি।’
আলী মাদকাসক্ত বিয়ের আগেই জেনেছিলেন দাবি করে লোপার মা বলেন, ‘গায়ের হলুদের আগের দিনই বিষয়টি জানি। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে বিষয়টি যাচাই করার সুযোগ হয়ে উঠেনি।’
মেয়ে আত্মহত্যা করেনি দাবি করে এসময় তিনি বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন।
লোপার ঝুলন্ত লাশ গত ১৬ অক্টোবর রাজধানীর গুলশানে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধারের পর থেকেই হত্যার অভিযোগ তোলেন তার মা রাজিয়া সুলতানা। লোপার স্বামী আলী আমিনের বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি।