বাংলাদেশের জয়ের ধারা অব্যাহত

199297জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার চতুর্থ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ২১ রানে পরাজিত করে সিরিজে ৪-০ তে এগিয়ে গেল মাশরাফি বাহিনী। আগের ম্যাচগুলোতে খুব সহজে জয় পেলেও শুক্রবার চতুর্থ ওয়ানডেতে ঘাম ঝড়িয়ে জিততে হয়েছে বাংলাদেশকে।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ২৫৭ রানের তাড়া করতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৫ রান করে অতিথী দলটি। এ নিয়ে টানা ৪ ম্যাচে জয় পেল টাইগাররা। সিরিজে এখন ৪-০ তে এগিয়ে স্বাগতিকরা। সোমবার সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

২৫৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬০ রানেই ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সাকিবের জোড়া আঘাতে ফিরেন মাসাকদজা ও সিবান্দা। ১১তম ওভারের প্রথম বলে সিবান্দাকে লেগ-বিফোরের ফাঁদে ফেলে সিবান্দাকে ফেরানোর পর মাসাকাদজাকেও ফেরান টাইগার অলরাউন্ডার। ১৩তম ওভারে তিনি সরাসরি বোল্ড করেন মাসাকাদজাকে। এর পর মারুমাকে ফেরান অভিষিক্ত জুবায়ের হোসেন। তবে এই হোঁচট কাটিয়ে ওঠে সফরকারীরা। চতুর্থ উইকেটে ভয়ংকর হয়ে দাড়ান সলোমন মির ও ব্রেন্ডন টেলর জুটি। ৬০ রানে তিন উইকেট পতনের পর চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে ১৬৬ রানে। টেলর-মির জুটি যোগ করে ১০৬ রান।

জুটিটি ভাঙ্গেন লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন। নিজের ষষ্ঠ ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান তিনি। অর্ধশতক পূর্ন করার পর কাভারে দাড়িয়ে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দেন সলোমন মির। ৫২ রান করে ফেরেন তিনি।

এর আগে সাকিবের জোড়া আঘাতে ফিরেন মাসাকদজা ও সিবান্দা। ১১তম ওভারের প্রথম বলে সিবান্দাকে লেগ-বিফোরের ফাঁদে ফেলে সিবান্দাকে ফেরানোর পর মাসাকাদজাকেও ফেরান টাইগার অলরাউন্ডার। ১৩তম ওভারে তিনি সরাসরি বোল্ড করেন মাসাকাদজাকে। এর পর তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নামা জুবায়ের হোসেন। টিমিসেন মারুমাকে ফেরান এই লেগস্পিনার।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় বেলা সাড়ে ১২টায়। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করে মাশরাফি বাহিনী। এ ম্যাচে ইনিংসের সূচনাটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৩২ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে কোনঠাসা হয়ে পরে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ১৪ রানে। মাডজিভার বলে ৫ রান করে এলবিডব্লুউ হন এনামুল হক বিজয়। এর পর একে একে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল (১৬) , ইমরুল কায়েস (৫) ও সাকিব আল হাসান (১)।

কায়েস ও সাকিবের উইকেট দখল করেছেন সলোমন মিরে।

তবে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম জুটি বেধে বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। এ জুটি যোগ করে ১৩৪ রান। ব্যক্তিগত ৭৭ রান করে কামুনগোজির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। ৭৮ বলে ৭টি চারের সাহাজ্যে এ রান করেন মুশফিক। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশতক।

মুশফিকের বিদায়ের পর সাব্বির রহমান উইকেটে এসে দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন। ৪ রান করে কামনুগোজির বলে চাকাভার হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ তরুণ ক্রিকেটার। এর পর মাহমুদউল্লাহর সাথে জুটি বাধেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাত্র ২৫ বলে চারটি বাউন্ডারি আর দুটি ওভার বাউন্ডারিতে খেলেন ৩৯ রানের এক ঝড়ো ইনিংস।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষ পর্যন্ত ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন। ১১২ বলে ৬টি চারের সাহাজ্যে এ রান করেন তিনি।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend