স্বামীর জন্যই আজ আমি পতিতা!
ভারতে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘনায় ১ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ দৈহিক ক্ষতির শিকার হন। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালান। পরিবারের ওপর এর ফলাফল কত ভয়ানক ও নিষ্ঠুর হতে পারে তার চিত্রই মুম্বাইয়ের পঙ্কজ ঠাকুর নির্মিত একটি শর্ট ফিল্মে দেখানো হয়েছে। যা এখন সবার আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। ছবির শিরোনামটিই সবার মনোযোগ কেড়েছে যাতে লিখা রয়েছে ‘আমার স্বামী আমাকে পতিতা বানিয়েছে’।
ভারতীয় দাতব্য সংস্থা ‘মিশন শেয়ারিং নলেজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা রোহিত সাকুনিয়া বলেন, ভারতে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে অবশ্যই সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সবার মাঝে সংশ্লিষ্ট জ্ঞান দান করতে একটি এডিটোরিয়াল প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে যা সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে ‘মিশন শেয়ারিং নলেজ (এমএসকে)’ নামে একটি প্রজেক্টও চালু করা হয়েছে। এখানেই সেই শর্ট ফিল্মটি দেখানো হচ্ছে। কিন্তু ছবিটিকে বিষাক্ত বলে মন্তব্য করছেন অনেকে। মদ্যপ অবস্থায় যারা গাড়ি চালায় তারা একটি পরিবারে আর কী কী ঘটাতে পারে তাই তুলে ধরা হয়েছে এখানে।
পঙ্কজ ঠাকুরের পরিচালনায় ছবিটির স্ক্রিপ্ট লিখেছেন জয়ব্রত দত্ত। ফিকশন ধাঁচের এই ছবিতে দেখানো হয়েছে, এক লোক মাতাল হয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে কোমায় চলে যান তিনি। তার স্ত্রী একজন শিক্ষিত নারী। সংসার চালাতে তাকে পতিতাবৃত্তি গ্রহণ করতে হয়। ছবির শেষে এর সারমর্মতে বলা হয়, মদ্যপান করে গাড়ি চালাবেন না। এর মূল্য দিতে হয় আপনার পরিবারকে।
স্ক্রিপ্ট রাইটার জয়ব্রত বলেন, যদিও ফিকশন ছবি এটি, কিন্তু এমন ঘটনার সত্যতা বহু পাওয়া যায়। মাতাল হয়ে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শয্যাশায়ী বাড়ির কর্তা। সেই পরিবারকে টানতে পতিতাবৃত্তি গ্রহণ করেছেন বহু নারী। মাত্র চার দিনেই এই ভিডিওচিত্রটি ইউটিউবে ইতিমধ্যে ৯ লাখ ২৮ হাজার ১০৯ বার দেখা হয়েছে।
সূত্র: মিরর