আন্দোলনের মাঠে সামনে থাকার ঘোষণা খালেদা জিয়ার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জনগণকে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আসুন সবাই এক কাতারে আন্দোলন করি। আমি থাকবো সামনের কাতারে। দেখি কীভাবে পুলিশ গুলি করে। খুব শীঘ্রই সরকারের পতন হবে ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগকে বর্জন করুন। নতুন পরির্বতনের হাওয়া লেগেছে। দেশে এখন পরির্বতন আসবে।’
তিনি বলেন, হাসিনা খুনীদের দ্বারা বেষ্টিত। এরা দুর্নীতি-সন্ত্রাসের কারণে জনগণ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরা জনগণকে ভয় পায়। তারা জানে জনগণ তাদের পিষে মারবে। সে কারণে তারা গদি ছাড়তে ভয় পায়।
কুমিল্লার টাউন হল মাঠে শনিবার বিকেলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। জনসভা উপলক্ষে দুপুর থেকেই পূর্ণ হয়ে উঠে সমাবেশস্থলের মাঠ ও আশেপাশের রাস্তা-ঘাট। বিকেল সোয়া চারটার দিকে খালেদা জিয়া বক্তব্য শুরু করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য দেন।
খালেদা জিয়া বলেন, গুলি করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। আর বিদেশীদের বলব, বাংলাদেশে র্যাবকে গুলি, টিয়ারসেল, ট্রেনিং দেওয়া বন্ধ করুন। এরা মানুষ খুন করে। আপনাদের দেওয়া অস্ত্রে নিরীহ মানুষের প্রাণ যায়।
তিনি বলেন, এ সরকার খুনিদের সরকার। ডা. মিলনকে খুন করেছে এরশাদ। জয়নাল, জাফর, দিপালী সাহা, নুর হোসেন জীবন নিয়েছে এরশাদ। সেই খুনি এরশাদের সঙ্গে জোট বেধেছে হাসিনা। হাসিনা খুনিদের দ্বারা বেষ্ঠিত। এদের গদি না থাকলে জনগণ পিষে ফেলবে। তাই তারা গদি ছাড়তে চায় না। সাহস থাকলে গদি ছেড়ে দেখুন কি পরিণতি হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেদের যদি এতই জনপ্রিয় মনে করেন তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিবার্চন দিয়ে প্রমাণ করুন কয়টা ভোট পান। সেই সাহস নেই। সাহস থাকবে কোথায় থেকে? কেবল তো আছেন লুটপাটের ধান্দায়।
খালেদা জিয়া বলেন, জাসদের একজন নেতা যিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক নয়। তারা গণতান্ত্রিক কোনো দলও নয়। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সঙ্গে আছে, থাকবেন। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা গণতান্ত্রিক নয়। আওয়ামী লীগের কার্যকলাপে মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সারাদেশে কোনো উন্নয়ন হয়েনি। উন্নয়নের নামে লুটপাট করে পকেট ভর্তি করছে তারা। অর্থনীতিতে স্তবিরতা নেমে এসেছে। অর্থমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ব্যাংকগুলো ফোকলা হয়ে পড়েছে। অর্থমন্ত্রীর কিছু করার ক্ষমতা নেই। ৫ রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের দূরাবস্থায় অর্থমন্ত্রী হতাশ। রাম, শাম, যদু, মধুকে দিয়ে ব্যাংক চালানো হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এ ব্যর্থ সরকার এখনও পদত্যাগ করে না কেন?
তরুণ যুবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হাসিনা বলেছিল তোমাদের ঘরে ঘরে চাকুরি দিবে। এখন এক মাসে ১৯ শতাংশ কর্মসংস্থান কমেছে। ৮২ ভাগ বিনিয়োগ কমে গেছে। এক ব্যক্তির শাসন এবং শোষণ চলছে। গার্মেন্ট শিল্প শুরু করেন জিয়াউর রহমান। সেখানে অনেক মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক বেকার যুবক কাজ পেয়েছে। এখন অনেক গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। লোকসানি গার্মেন্টগুলো বিদেশীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমাদের গার্মেন্ট শিল্প ছিল দুই নম্বরে, চীন ছিল এক নম্বরে। এখন তা চার নম্বরে চলে এসেছে। আওয়ামী লীগ ভালো কিছু করতে জানে না। শুধু ধ্বংস করতে জানে। শুধু লুটপাট করতে জানে।
সরকারের এক নম্বর নীতি হলে দূর্নীতি—এ দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, মন্ত্রী এমপিরা লুটপাট করছে। তাদের চেলা-চামুন্ডারা লুটপাট করছে। যত পার তাড়াতাড়ি লুটেপুটে নাও—এই হলো আওয়ামী লীগের মূল মন্ত্র। আর এ লুটপাট দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপিদের তথ্য নির্বাচন কমিশনে আপনারা দেখেছেন। ৫ বছরে কত শতগুণ বেড়েছে তাদের সম্পদের পরিমাণ। তাদের দুর্নীতি জনগণ দেখে ফেলবে তার জন্য তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। দায়মুক্তির কমিশন হলো এখন দুদক। ওপর থেকে ওহি নাজিল হয়েছে- দূর্নীতির কথা বলা যাবে না।
খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারিকে ‘কুত্তা মার্কা’ নিবার্চন অভিহিত করে বলেন, শফিউল আলম প্রধান সাহেব ছবি দেখিয়েছেন কুকুর শুয়ে আছে, ছাগল বসে আছে ভোট কেন্দ্রে। আমরা ডাক দিলাম ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। আওয়ামী লীগ বাদে সবাই ভোট বর্জন করেছে। আওয়ামী লীগও পিটুনির ভয়ে ভোট দিতে যায়নি। এই আজ্ঞাবহ পা চাঁটা নিবার্চন কমিশন ভোটের হিসেব মিলাতে পারেনি। তিনদিন পর বলেছে ৪০ ভাগ ভোট পড়েছে।
এসময় জনসমাবেশের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন ‘আপনারা কী ভোট দিয়েছেন?’ তখন একক ধ্বনিতে মানুষ জবাব দেয় ‘না’। ১৫৪ সিটে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় তারা এমপি বানিয়েছে। ৫৭ সিটে কোনো ভোট পড়েনি। এই সংসদ সম্পূর্ণ অবৈধ। যত আইনই পাস করুক না কেন কোনো আইনই টিকবে না। তাদের কোনো আইন পাস করার অধিকার নেই। ক্ষমতার জোরে তারা যাই করুক কোনো আইনই টিকবে না।
তিনি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া বিভিন্ন আইনের সমালোচনা করে বলেন, বিরোধীদলের কোনো সংবাদ যাতে সাংবাদিকরা লিখতে না পারে এই জন্য সম্প্রচার নীতিমালা করেছে। ন্যায়বিচার করার ক্ষমতা রহিত করতে আইন করেছে। বিচারক সাহেবরা আওয়ামী লীগের মন মতো রায় না দিলে তাদের বিদায় করবে এ সংসদ। হাসিনা যা বলবে বিচারক সাহেবদের তাই করতে হবে। জজদের হাত বেঁধে দিয়েছে তারা।
তিনি বলেন, হাসিনার নামে ১৫টি মামলা ছিল, তার সবগুলো তুলে নেওয়া হয়েছে। আমাদের কোনো মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। পুরানো মিগ-২৯ দূর্নীতি করেছে। ফ্রিগেড ছিল জোড়াতারি দেওয়া। নিরপেক্ষ বিচার হলে এ মামলায় হাসিনার সাজা হতো। আবার বড় বড় কথা। মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দীনের পা ধরে ক্ষমতায় এসেছেন তারা। মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দীন আমার কাছে এসেছিল, আমাদেরকে বৈধতা দিলে আপনি ক্ষমতায় যেতে পারবেন। আমি বলেছিলাম, তোমরা বৈধতা পেতে পার না। তোমরা অন্যায় করেছো, মাফ পাবে না। তখন তারা হাসিনাকে ক্ষমতায় বসালো। বিএনপির মত দল মাত্র ৩৫টি সিট কীভাবে পায়?
খালেদা জিয়া বলেন, তাদের একজন ইমাম আছে, এইচটি ইমাম। এই ইমাম হাসিনাদের ইমাম। তিনি তাদের জারি-জুরি ফাঁস করে দিয়েছেন। কীভাবে নিজেদের লোক দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরেছে। বিনা ভোটে পাস করেছে। এত বড় সত্য বলার পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা অধিকার নেই। এইচটি ইমামেরও ক্ষতায় থাকা উচিৎ নয়। পাকিস্তান আমলে দূর্নীতির দায়ে চাকুরি গিয়েছিলো তার। যত কুবুদ্ধি তা তার মাথায় আছে। হাসিনাকে সে এই কুবুদ্ধি দেয়। এই ইমামের পেছনে আর থাকা ঠিক নয়।
খালেদা জিয়া বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের ছবি দেখিয়ে বলেন, এই অস্ত্রধারীদের ধরা হয় না। এরা পুলিশ না, এরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। প্রকাশ্যে রাজপথে তারা অস্ত্র নিয়ে মানুষ হত্যা করে। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখন বাংলাদেশে। এই অস্ত্রধারীরা বিশ্বজিৎকে হত্যা করেছে। সে বলেছে আমি হিন্দু, তারপরও তাকে রেহায় দেওয়া হয়নি। তাদের বিচার হয়নি। একটি আলোকচিত্র দেখিয়ে বলেন, হাসিনার কাছে জানতে চাই, এই অস্ত্র কোথায় পেল? কেন গ্রেফতার করা হয় না তাকে? তাদের নামে মামলা দিয়ে জেলখানায় পুরতে হবে।
র্যাবকে খুনি, ড্রাকুলা, রক্তপিপাসু অভিহিত করে খালেদা জিয়া বলেন, র্যাব এখন খুনি। তারা বহু গুম-খুন করছে। নারায়নগঞ্জে তারা ৯ জন নয়, ১১ জনকে খুন করেছে। সেখানের গডফাদার ও র্যাব-পুলিশ জড়িত। আর আসল খুনি পর্দার আড়ালে, তিনি হলেন কর্নেল জিয়াউল হাসান। তাকে না ধরা পর্যন্ত গুপ্তহত্যা বন্ধ হবে না। র্যাব এখন ভাড়াটিয়া খুনি হয়ে গেছে। অনেকে টাকা দিয়েও ছাড়া পায় না। শুধু আমরা না এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ সুশিল সমাজ দাবি করেছে র্যাব বাতিল করতে হবে। কর্নেল জিয়াকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। আমাদের সাবেক এমপি হিরুকে র্যাব ধরে নিয়ে গিয়ে গুম করেছে। আজও সন্ধান মেলেনি। র্যাব ঢাকা শহরের বহুলোক ধরে নিয়ে গুম করেছে, সেই হিসাব আমাদের আছে।
তিনি বলেন, পুলিশ আইনের উর্ধ্বে নয়। যখন ইচ্ছা তাকে ধরে নিয়ে খুন গুম করছে। প্রতি মাসে গড়ে ১০০ পুলিশ অপরাধে জড়াচ্ছে। একটি বিশেষ জেলা আছে, তারা ভাবে তারা আইনের উর্ধ্বে। ডিবি এখন কন্ট্রাক্ট কিলিং করছে। মানুষ ধরে নিয়ে টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে খুন করে। রাস্তাঘাট, নদী-নালায় এত লাশ কেন পাওয়া যায়? স্বাধীনতার পর এই অবস্থা হয়েছিল। জাসদ এবং আওয়ামী লীগ একে অন্যকে খুনের জন্য দোষ দেয়। খুনিরা খুনিরা এক হয়ে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে।
খালেদা জিয়া বলেন, পিলখানায় নৃসংস হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ দায়ী। শেখ হাসিনা সব জানতো। মঈনউদ্দিন একটি পত্রিকায় স্বাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন, সেইদিন তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। সেনাবাহিনীকে পিলখানায় উদ্ধার অভিযানে পাঠাতে পারেননি। কারণ হাসিনা মঈনকে তার অফিসে বসিয়ে রেখেছিল। কোনো সেনা অফিসারকে পিলখানায় যেতে দেয়নি হাসিনা। মির্জা আজমের বোনের জামাই জঙ্গি নেতা শায়খ আব্দুর রহমানকে গুলজার আটক করেছিল। র্যাব থেকে গুলজারকে হাসিনা বিডিআর এ নেয়। আব্দুর রহমানকে ধরার অপরাধে গুলজারকে হত্যা করা হয়েছে। সে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেঁচে ছিল।
তিনি বলেন, প্রকৃত জঙ্গি হলো আওয়ামী লীগ। অথচ দাড়ি টুপিধারি আলেমদের দেখলে এরা তাদেরকে জঙ্গি বলে। আলেমরা জঙ্গি নয়, তারা ইসলামের প্রচার করে সত্য ও শান্তির কথা বলে। শাপলা চত্বরে তারা নিরীহ আলেম এতিমদের হত্যা করে লাশ গুম করেছে। আওয়ামী লীগ মুসলমানদের সহ্য করতে পারে না। এরা কি করে মুসলমান হয়? এরা অমুসলিম। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়।
খালেদা জিয়া দেশ রক্ষার আন্দোলনের ডাক দিয়ে বলেন, আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে, নিরপত্তা, অন্ন-বস্ত্র, কর্মসংস্থানের জন্য আমরা আন্দোলন করছি। ইমান আকিদা ঠিক রাখতে আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। আমার কাছে ক্ষমতা বড় নয়। তাই সুদিনের আগে কিছু কষ্ট করতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণের সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতীক, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দায়, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কুমিল্লা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন, কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ড. খন্দকার মারুফ হোসেনসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—এলডিপির অলি আহমেদ, বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতের ইসলামীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টি(জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দায়, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দি চৌধুরী এ্যানী, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন, উত্তরের সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক মো: আকতারুজ্জামন সরকারসহ জেলা বিএনপির নেতারা।
পথে পথে তোরণ ভাঙচুর : জনসভার যাত্রাপথে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানিয়ে নির্মিত অন্তত: বিশটি তোরণ ভাঙচুর করেছে সরকার সমর্থকরা।
শুক্রবার রাতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত নির্মিত এ তোরণগুলো ছাত্রলীগের ক্যাডাররা ভেঙেছে বলে অভিযোগ করেছেন কুমিল্লা (উত্তর) জেলা ছাত্রদলের সভাপতি চৌধুরী রফিকুল হক শিপন। তিনি বলেন, ঘটনার পর আমরা রাস্তায় নেমে এলে তারা পালিয়ে যায়।
জামায়াত-শিবিরের শোডাউন : মঞ্চের সামনের বিশাল অংশ সকাল থেকেই দখল করে নেয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। জনসভায় প্রবেশের জন্যে মাঠের পূর্বদিক দিয়ে আলাদা গেইট তৈরি করে নেয় জামায়াত। কারাবন্দী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের প্রতিকৃতি, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার দিয়ে সাজানো হয় তাদের প্রবেশ পথ। শুধু পূর্ব পার্শ্বই নয়, মাঠের অর্ধেকের বেশিরভাগ দখল করে নেয় জামায়াত-শিবির। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে বিশালাকৃতির একগুচ্ছ বেলুনও মাঠের উপর উড়িয়ে রাখে জামায়াত। তাদের নেতাদের বক্তৃতার সময় বার বার নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবার স্লোগান দিতে থাকে। এদিকে জনসভায় যোগ দিতে লাকসাম থেকে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা কুমিল্লায় আসার পথে দত্তপুর এলাকায় তাদের বহনকারী গাড়ির উপর ছাত্রলীগ হামলা করে। এতে ১০-১২ জন কর্মী আহত হয় বলে অভিযোগ করে জামায়াত