রাজউক খালি মাল কামায় : গণপূর্তমন্ত্রী
‘রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) কোনো কাজ নেই। তারা শুধু মাল (টাকা) কামায়’ বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘জনস্বার্থে গৃহনির্মাণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী শনিবার এই মন্তব্য করেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ঢাকার নগরায়নে পরিকল্পনাবিদদের ভুল ছিল। এখন থেকে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) ছাড়া কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে গৃহায়ন খাতে ৩ শতাংশ হারে ঋণ দেওয়া হয়। আর আমাদের এখানে সুদের হার বেশী। বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষ টাকা মারে না। তাদের ঋণ দিলে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, যুবক, ডেসটিনির মতো হবে না। কারণ, তারা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও সরকারি চাকরিজীবীরা ঋণ নিয়ে দ্রুত পরিশোধ করে দেন।
মোশারফ হোসেন বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজউক পূর্বাচলে ৬২ হাজার ফ্ল্যাটের অনুমোদন দিয়েছি। এই সময় তিনি মধ্যবিত্তদের জন্য ১২শ’ স্কয়ার ফিটের মধ্যে ফ্ল্যাট তৈরি করার পরামর্শ দেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা ও আশপাশে পরিকল্পিতভাবে নগরায়ন হয়নি। আগে যারা নগর পরিকল্পনাবিদ ছিলেন তারা এ দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মিল রেখে পরিকল্পনা করেনি। এই কারণে রাজধানীতে ট্যানারি ও তৈরি পোশাক শিল্প খাত গড়ে উঠেছে। যার বর্জ্য গিয়ে পড়ছে বুড়িগঙ্গাসহ অনেক নদীতে। ফলে নদী দূষিত হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
সেমিনারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার অর্থনীতিবিদ ড. নুরুল আমিন ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে আবাসন খাতের ভূমিকা এবং এ খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
ডিসিসিআই’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার জিএম জয়নাল আবেদিন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. আবুল কাশেম এবং রিহ্যাবের প্রতিনিধিরা।