‘‘প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কাউকে পরোয়া করে না ছাত্রলীগ’’
প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের কথা ছাড়া অন্যদের কথাকে পরোয়া করে না ছাত্রলীগ। এমন মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে ছাত্রলীগের ‘ক্লিন ক্যাম্পাস অ্যান্ড সেইফ ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিকী নাজমুল আলম এসব কথা বলেন।
নাজমুল আলম বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা ছাড়া কে কোন বক্তব্য দিয়েছে, কোন লেখা লিখেছে, তাতে কিছু যায়–আসে না। সেটি কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। আমাদের কিঞ্চিৎ ক্ষতিও করতে পারবে না। এ নিয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথাও নেই।
সম্প্রতি সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত সুমন দাস নামে একজন খুন হয়। ছাত্রলীগ সুমনকে নিজেদের কর্মী নয় বলে দাবি করলেও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তাকে ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী বলে দাবি করেন।
শাহজালালের ঘটনায় ছাত্রলীগের ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সংগঠনের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগ ইমেজ সংকটে নেই। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সংঘর্ষের মতো ঘটনা নতুন কিছু নয়। বর্তমানে শিক্ষাঙ্গনগুলোতে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন কবে হবে? এ প্রশ্নের জবাবে বদিউজ্জামান বলেন, জেলায় জেলায় কমিটি গঠনের কাজ চলছে। কমিটি গঠন শেষ হলে যেকোনো সময় কেন্দ্রীয় সম্মেলন হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘আমাদের শিক্ষাঙ্গন আমরাই পরিচ্ছন্ন রাখব’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। ‘ক্লিন ক্যাম্পাস অ্যান্ড সেইফ ক্যাম্পাস’ শীর্ষক এ কর্মসূচি আগামী ১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হবে। সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে।
১৩ নভেম্বর এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির, দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।