ডাক্তারেরা যাকাতের টাকাও খেয়ে ফেলে: ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত জানিয়েছেন, ডাক্তারেরা যাকাতের টাকাও খেয়ে ফেলে।
শনিবার ২৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট’র দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন অসহায় গরীব মানুষ আমাদের কাছে আসলে কারণে অকারণে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য বলে থাকি। সেসব সহজ-সরল গরীব রোগীরা হয়তো গ্রামে গিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে যাকাতের টাকা সাহায্য নিয়ে তবে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষার খরচ জোগান।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় উকিল এবং ডাক্তারেরা বার্ধক্যের সময় কষ্টে থাকেন। তাদের ছেলে মেয়েরা সুস্থ হয় না, কারণ ডাক্তাররা যাকাতের টাকাও খেয়ে ফেলেন।
প্রাণ গোপাল বলেন, একই পরীক্ষা আমাদের এখানে করলে খরচ হয় একশ টাকা, আর সেটাই বেসরকারি ভাবে করতে গেল খরচ বেড়ে তিনশ টাকা হয়। এ একশ টাকা নিয়েও তো আমাদের লাভ হয়, তবে কেন তিনশ’ টাকা নেওয়া হয়?
তিনি বলেন, আমাদের স্বচ্ছতা দিয়ে মানুষের সেবা করা প্রয়োজন। এ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণ মানুষ সেবা প্রত্যাশা করেন। আমরা সাধারণ মানুষের সেই আশ্বাসের জায়গা নষ্ট করলে তারা সেবা পাবে কোথায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগে বর্তমানে দুই সিফট (সকাল ৮টা থেকে আড়াইটা এবং আড়াইটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত) চালু থাকে। এ বিভাগের বৈশিষ্ট্য হলো নমুনা সংগ্রহের দিনই রিপোর্ট প্রদান করা হয়।
বিশেষ জরুরি রোগীদের ক্ষেত্রে দুই ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করা হয়। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এ বিভাগের রোগীর রোগ নির্ণয়ের জন্য অনেক পরীক্ষাও করা হয়। যা দেশের আর কোনো হাসপাতালে করা হয় না। পরীক্ষার ব্যয়ও বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ বলে জানান তিনি।