সরকার ২ কোটি মানুষের চাকরি দিয়েছে: মতিয়া চৌধুরী
আওয়ামী লীগের
সভপাতিমণ্ডলীর সদস্য ও
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী দাবি করেছেন,
বিগত দুই টার্মে আওয়ামী লীগ
সরকার দেশে দুই কোটি মানুষের
চাকরি দিয়েছে।
তিনি রবিবার দুপুরে জাতীয়
প্রেসক্লাবে গণতন্ত্রী পার্টির
সাবেক সভাপতি আহমাদুল কবির ও
মো. নূরুল ইসলামের স্মরণসভায় এ
দাবি করেন।
মতিয়া বলেন, ‘১৯৯৬ ও ২০০৮
সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলের
১০ বছরে এক কোটি করে মোট দুই
কোটি লোকের চাকরির
ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চাকরি বলতে শুধু
সরকারি চাকরি বুঝলে হবে না।
বেসরকারি চাকরির সুযোগ সৃষ্টিও
সরকার করে। এভাবেই দুই
কোটি মানুষের
চাকরি দেওয়া হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন,
‘শিক্ষা নিয়ে বর্তমান সরকারের বহু
সমালোচনা হচ্ছে।
সত্যি বলতে কাজ করলেই
সমালোচনা হয়। তবে যারা কাজ
করেনি, তাদের
সমালোচনা শুনে আমার
হাসি পায়।’
তিনি বলেন, ‘দেশে বসবাস
করে বলে অনেকেই অনেক কিছু
বোঝে না। কিন্তু জানুয়ারির প্রথম
সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের
হাতে বিনামূল্যে বই ও মেয়েদের
উপবৃত্তির
কথা শুনে বিদেশিরা বিস্ময় প্রকাশ
করেন। আমরা জানি, শেখ
হাসিনা ক্ষমতায় বলেই এটা সম্ভব
হচ্ছে।’
রাজনীতিকে পণ্য
হিসেবে জিয়া বিক্রি করেছিলেন
মন্তব্য করে মতিয়া বলেন, ‘প্রকৃত
রাজনীতিকের জন্য
জিয়া রাজনীতিকে দুরূহ
করে দিয়ে গেছেন। রাজাকার আল
বদরদের জেল থেকে মুক্ত
করে তিনি দল করেছিলেন।’
অনুষ্ঠানে ওয়ার্কার্স পার্টির
সভাপতি বেসামরিক বিমান ও
পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন
বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর
আন্তর্জাতিক লবিস্ট অত্যন্ত
শাক্তিশালী। যুদ্ধাপরাধীদের
বিচার বন্ধে বিভিন্ন দেশ
থেকে হস্থক্ষেপ করা হয়েছিল।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট এরদোগান
এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান
কি মুন এ নিয়ে সরকারকে চাপ
দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এসব বিশ্ব
নেতারা বার বার বলেছে-
আমরা বিচার চাই,
তবে তা হতে হবে স্বচ্ছ। কিন্তু এই
স্বচ্ছতা কিভাবে হবে তারা কিন্তু
তা কখনো বলেনি।’
মেনন বলেন, ‘যুদ্ধাপারাধীদের
বিচারে এসব দেশ
আবারো স্বচ্ছতার কথা বলেছে।
কিন্তু আমরা বলতে চাই- সব
কিছুকে উপেক্ষা করে তাদের
বিচার করা হবে। এই বিচার কেউ
বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’
তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ
হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রকৌশলী কামরুল আহসান খান
পারভেজের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন-
ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ
ভট্টাচার্য, গণতন্ত্রী পার্টির
সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম,
নূর হোসেনে স্ত্রী কবি রুবী রহমান
প্রমুখ।