জামালপুরে সরিষার বাম্পার ফলন : ফুলে ফুলে ভরে গেছে দিগন্ত জোড়া মাঠ
মাঠের পর মাঠ জুড়ে সরষে ফুলের হলদে আভা রাঙিয়ে দিয়েছে নয়নাভিরাম দিগন্ত। এ যেন হলুদ শাড়িপড়া তরুণীর সাজে সজ্জিত মাঠ। সরষে ক্ষেত থেকে ভেসে আসা হলুদ ফুলের কাঁচা মিষ্টি গন্ধে চারদিকে মাতোয়ারা। ফুলের ঘ্রাণে আকৃষ্ট হয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছিরা প্রকৃতিকে আরো অপরূপ করে তুলেছে। দিগন্ত জুড়ে ফুলে ভরা সরষে মাঠ দেখে জেলার কৃষককের মুখে হাসির ঝিলিক। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে সরষের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
বকশীগঞ্জ উপজেলার দশানী নদীর তীরবর্তী ও বিভিন্ন অঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। সরিষা ফুলে ফুলে ভরে গেছে দিগন্ত জোড়া মাঠ। এককইভাবে জেলার সরিষাবাড়ি, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও জামালপুর সদরে। লাভজনক হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে উপজেলায় বিভিন্ন অঞ্চলে সরিষার চাষ অনেকাংশেই বেড়েছে।
বকশীগঞ্জ কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বকশীগঞ্জে ১ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বকশীগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে সরিষার ক্ষেত।
কৃষিকর্মীদের মতে, কৃষকরা উপলব্ধি করছেন বোরো জমি ফেলে না রেখে আগাম রবি ফসল সরিষা, পেঁয়াজ, মসুর, মটর, ডাল চাষ করা যায়। বিশেষ করে গত বোরো ও আমনের বাম্পার ফলনের পর এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় সরিষার ফলন ভালো হয়। ৮০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে পাকা সরিষা কৃষকরা ঘরে তুলতে পারে। এরপর জমি চাষ করে মাঘ মাসে বোরো রোপণ করতে কোন অসুবিধা হয় না। ফলে সরিষার মতো অতি স্বল্প সময়ের ফসলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
সরিষা চাষকৃত কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, অন্যবারের তোলনায় এবার বেশি ফলন হবে। তাদের মতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে কৃষকরা লাভবান হবে।