‘আ’লীগ দেশের মানুষকে খিস্তিখেউর শেখাচ্ছে’
নীলফামারী প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষকে খিস্তিখেউর শেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্ট নাকি ভাল চলছে, এখানে খিস্তিখেউর নেই। অথচ এ দেশের মানুষ খিস্তিখেউর শিখছে হাসিনার কাছ থেকে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, অর্থনীতির ভবিষ্যৎ এবং সামাজিক ভবিষ্যৎ আছে বলে মনে হয় না।’
নীলফামারী জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে রবিবার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ দেশে শেখ হাসিনা যাদের যুদ্ধাপরাধী বলে চিহ্নিত করছেন, তিনিই তো তাদের সঙ্গে বহুবার মিটিং করেছেন। তাদের সঙ্গে নিয়েই আন্দোলন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘তারা আজ দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। তিনি আজ দেশের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মাধ্যমে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘শুধু মাত্র লুটের কারণেই ব্যাংকগুলো আজ দেউলিয়ায় পরিণত হয়েছে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। শুধু তাই নয়, তারা বিমান লুট করেছে, করপোরেশন লুট করেছে। একের পর এক গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর কারণ কুইক পাওয়ার প্ল্যান্ট দিয়ে জনগণের পকেট থেকে তারা অতিরিক্ত পয়সা নিয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের দাম বাড়াতে হচ্ছে।’
দেশের বন্ধু রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের নানাভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হচ্ছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। সম্প্রতি দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী আসলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বললেন, তিনি দু’আনার মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত সম্পর্কে বলা হল বাড়ির কাজের মেয়ের নাম নাকি মজীনা, এভাবেই তাকেও বিদ্রুপ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে আজ বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে। ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের হাতে প্রকাশ্য অস্ত্র থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অচিরেই এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।’ তিনি নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেবার আহ্বান জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন— রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম ও স্থানীয় নেতারা। পরে সন্ধায় এ্যাডভোকেট আনিছুর আরেফিন চৌধুরীকে সভাপতি ও সামসুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে নীলফামারী জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়।