চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে আজিমপুর কবরস্তানে সমাহিত করা হবে
প্রবীণ ও বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে সোমবার আজিমপুর কবরস্তানে দাফন করা হবে। তার আগে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সোমবার তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
জানা গেছে, বরেণ্য এই চিত্রশিল্পীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগে, সর্বসাধারণের জন্য বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, উচ্চাঙ্গসঙ্গীত মঞ্চে পড়ে গিয়েই না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রবীণ ও বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবের মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে যান তিনি।
সেখান থেকে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টায় চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। সিএমএইচের কমান্ড্যান্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘সঙ্গীতানুষ্ঠান শুরুর আগে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে কাইয়ুম চৌধুরী মঞ্চে বক্তৃতা দিয়ে নেমে যাওয়ার পর বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ড. আনিসুজ্জামান। এরপর তিনি আবার ফিরে এসে মঞ্চে উঠতে চাইলে আমি তাঁকে মাইকের কাছে নিয়ে যাই। এ সময় তিনি বলেন, “আমার একটি কথা বলার আছে”। এরপর তিনি (কাইয়ুম চৌধুরী) পড়ে যান এবং সাথে সাথে তাঁকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।’
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাদের কোনো সন্তান নেই।
কাইয়ুম চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ৯ মার্চ ফেনীতে। চিত্রশিল্পের নানা শাখা বিশেষ করে চিত্রশিল্প, প্রচ্ছদশিল্প, তেলচিত্র, রেখাচিত্র, জলরং, ছাপচিত্র ইত্যাদি ক্ষেত্রে তিনি অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।