চিরনিদ্রায় শায়িত চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী
রাজধানীর আজিমপুর ছাপড়া মসজিদে শেষ দফা জানাজা শেষে বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে আজিমপুর কবরস্থানে চিরসমাহিত করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল চারটা ৪০ মিনিটে শ্বশুর খান সাহেব বদরুদ্দীন আহমেদের কবরে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁর মরদেহ বাড়ি থেকে ছাপড়া মসজিদে নিয়ে আসা হয়। এখানে শেষ দফা জানাজা সম্পন্ন হয়।
এদিকে, সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অফুরান ভালোবাসা ও ফুলেল শ্রদ্ধায় বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে শেষ বিদায় জানান সর্বস্তরের জনতা।
তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অস্থায়ী মঞ্চে রাখা হলে ঢল নামে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের। শিল্পীকে শেষবারের মতো দেখে তাঁর মরদেহে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান শোকাহত অশ্রুসিক্ত জনতা।
বরেণ্য এ শিল্পীর মরদেহে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, আর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদীন।
রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতের উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বক্তৃতা করে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে আসেন। পরে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বক্তৃতা দিতে মঞ্চে দাঁড়ালে তিনি ফিরে এসে বলেন, ‘আমার একটি কথা বলার রয়েছে।’ এ কথা বলতে বলতেই তিনি মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন।
দ্রুত রাত ৯টার দিকে কাইয়ুম চৌধুরীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়