এরশাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন
শিক্ষাগত সনদপত্র ও সম্পদ বিষয়ে এরশাদ তথ্য গোপন করেছেন বলে দাবি করেছেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর) এরশাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং রংপুর জাসদের সহ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ।
এজন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট করেছেন।
সোমবার ১ ডিসেম্বর আবেদনটি শুনানির জন্য এলে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। তবে আবেদনটি নিয়ে অন্য বেঞ্চে যেতে পারবেন আবেদনকারী। আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. মামুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
এরশাদের সনদপত্র নিয়ে ধূম্রজালের অভিযোগ তুলে রিট আবেদনে এরশাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সনদ এবং বিএ পরীক্ষার সনদের প্রমাণ হাজিরে রুল জারির আবেদন জানানো হয়।
সনদের প্রমাণ হাজিরে ব্যর্থ হলে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এরশাদকে সংসদ সদস্য ঘোষণা করে দেওয়া গেজেট বাতিলেও রুল জারির আবেদন জানানো হয়।
এছাড়াও আবেদনে অর্থপাচারের অভিযোগে ১৯৯৫ সালে দায়ের করা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর মামলা পুনরায় চালু এবং পুনর্তদন্তে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এরপর দশম সংসদ নির্বাচনে এরশাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে সাব্বির আহমেদকে সংসদ সদস্য ঘোষণার আবেদনও রয়েছে রিটে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।