শেখ জামাল-পুনে ফাইনাল মঙ্গলবার
গত ফেব্রুয়ারিতে কলকাতায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। পুরো আইএফএ শিল্ডে দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশের দলটি। রেফারির নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বে ট্রফি আনতে না পারলেও বাংলাদেশের ফুটবলের বিজ্ঞাপনটা ঠিকই কলকাতার মানুষের মনে গাঁথতে পেরেছিল শেখ জামাল। খেলা দিয়েই সল্টলেক স্টেডিয়ামে মাথা ঠিকই উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন মামুনুলরা। কলকাতার পর এবার ভুটানেও বাংলাদেশ ফুটবলের ফুল ফোটাচ্ছে শেখ জামাল। কিংস কাপের ট্রফি জিতে আইএফএ শিল্ডের সেই দুঃখ ভুলতে আর মাত্র একটি হার্ডলস পার হতে হবে মারুফুল হকের দলকে। ফাইনাল নামের সে হার্ডলসে শেষ প্রতিবন্ধক পুনে এফসি। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় ভারতীয় ওই ক্লাবটির বিপক্ষে কিংস কাপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামছে শেখ জামাল। লড়াইটা শুধু শেখ জামাল ও পুনে এফসির নয়, দুই দেশেরও। ক্লাবের আড়ালে এ অঞ্চলের ফুটবলের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ও ভারতের ফুটবলেরও শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।
আবাহনীর বিদায়ের পর ভুটানের এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে সম্ভাব্য দুই দল ভাবা হয়েছিল শেখ জামাল আর মোহনবাগানকে। কিন্তু শেখ জামাল ফাইনালমঞ্চে পা রাখতে পারলেও পারেনি কলকাতার জায়ান্ট মোহনবাগান। সেমিফাইনালে তীব্র লড়াই করে শেখ জামাল গতবারের চ্যাম্পিয়ন নেপালের মানাং মার্সিয়াংদিকে হারালেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিজ দেশের দল পুনে এফসির কাছে হেরে গিয়েছে মোহনবাগান। একই টুর্নামেন্টে দুইবার শেখ জামাল-মোহনবাগান দ্বৈরথ দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন থিম্পুর দর্শকরা।
থাইল্যান্ডের একটি দল নাম প্রত্যাহার করায় শেষ মুহূর্তে টুর্নামেন্টে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পুনে এএফসি। সে দলটিই এখন ভুটানের টুর্নামেন্টের শিরোপার অন্যতম দাবিদার। তবে শেখ জামালের খেলোয়াড়রা পুনেকে হারিয়েই বিজয়ীবেশে ঘরে ফিরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টুর্নামেন্টে দারুণ খেলছেন শেখ জামালের ৩ বিদেশী নাইজেরিয়ার এমেকা ডার্লিংটন, হাইতির ওয়েডসন ও গাম্বিয়ার ল্যান্ডিং। কোচ মারুফুল হক বেশ আশাবাদী-ফাইনালে তারা আরও ভালো খেলবেন বলে।
ফাইনালে ওঠার পথে শেখ জামাল হারিয়েছে স্বাগতিক ড্রুক ইউনাইটেড, মোহনবাগান ও মানাং মার্সিয়াংদিকে। একটি ম্যাচ ড্র করেছে থাইল্যান্ডের নাখন এফসির বিপক্ষে। জামালের ফাইনালের প্রতিপক্ষ পুনে এফসির গ্রুপে ছিল বাংলাদেশের আরেক দল আবাহনী। দুই দলের লড়াইয়ে পুনে জিতেছিল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ রানার্সআপদের ২-০ গোলে হারিয়েছিল ভারতের ক্লাবটি। শেখ জামাল জিতলে ট্রফি জয়ের পাশাপাশি আবাহনীর হারের প্রতিশোধটাও নিতে পারবে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা থিম্পুতে শেষ হাসির আলো ছড়াবে; তা দেখার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা।