প্রবাসে বাংলাদেশী নারী শ্রমিকের কান্না- মালিকের শরীর মালিশে দেরি হলেই মারধর
এক সময় বাংলাদেশ থেকে শুধু ছেলেরা চাকরি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাত। কিন্তু এখন দেশ থেকে নারীদেরও কাজের জন্য বিদেশে যাওয়ার হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জনশক্তি রফতানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে খ্যাতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এই খ্যাতির আড়ালে অনেক সময়ই চাপা পড়ে যায় বিভিন্ন দেশে চাকরি নিয়ে যাওয়া নারীদের নানা দুরবস্থা, অসহায়ত্ব, বিপর্যস্ত জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা। ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ১৫ নারী হংকং যাওয়ার পর সুখের বদলে পেয়েছে কষ্টের জীবন। কাজ করতে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
অল্প টাকায় বিদেশে ভাল বেতনের চাকরির কথা শুনে এই ১৫ নারী লুফে নেয় প্রস্তাবটি। যারা পত্রিকায় প্রকাশিত জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে সরকারিভাবে হংকং যাওয়ার জন্য নিজ নিজ ইউনিয়নের তথ্যসেবা কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন করেন।
সোহেলা ইয়াসমিন রুনা (পাসপোর্ট নং- AF ০৬৩৬৯৩০), বিউটি আক্তার (পাসপোর্ট নং- C ১৬৮১১৬৩), ফারিয়া আক্তার পান্না (পাসপোর্ট নং- AF ৮৬০৬৮৫২), শাহীনা ইয়াছমিন (পাসপোর্ট নং- AF ৫২০৩০৩৬), জিয়াসমিন (পাসপোর্ট নং- AF ৯৯৮৯৪৫১), সুলতানা পারভিন (পাসপোর্ট নং- AE ৭৭৬০৮৪০), বিউটি বেগম (পাসপোর্ট নং- AE ৪১৪৭৭৮৩), বেবী নাজনীন (পাসপোর্ট নং- AF ০১১৭৫০৭), মনোয়ারা বেগমসহ (পাসপোর্ট নং- AA ৪৮২৯৫২২) মোট ১৫ জন নারী ট্রেনিংয়ে গিয়ে জানতে পারেন শুধু ২০ হাজার নয়, হংকংয়ে যেতে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা লাগবে। ওই টাকা দিয়েই হংকং যায় তারা। তারপর সুখের বদলে শুরু হয় তাদের কষ্টের দিন। তারা কর্মক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
কয়েক মাস হংকংয়ে কাজ করার পর ২০১৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বিভিন্ন সময়ে এই ১৫ জন নারীকে দেশে ফিরতে হয় খালি হাতে। তাদের মাথায় বাড়তি বোঝা ছিল ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার ঋণ।
তাদের দাবি, চুক্তি অনুযায়ী রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সাদিয়া ইন্টারন্যাশনাল মাসিক বেতন ও ক্ষতিপূরণের টাকা ভুক্তভোগীদের পরিশোধ করে দেবে, বিনা খরচে পুনরায় হংকংয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ মওকুফ করে দেবে।
খিলক্ষেতের বাসিন্দা সামসুন নাহার। ২০০০ সালে এসএসসি পাস করার পর আর পড়ালেখা করা হয়নি তার। একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেখে দক্ষিণখান ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশন করেন তিনি। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং চলাকালে রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সাদিয়া ইন্টারন্যাশনাল অভিবাসন ব্যয় ও প্রশিক্ষণ বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিতে বললে গ্রাম থেকে সুদের ওপর টাকা ধার করেন তিনি।
হংকংয়ের স্মৃতি স্মরণ করে সামসুন নাহার বলেন, ‘৩০ আগস্ট হংকং যাওয়ার পর প্যাসিফিক গার্ডেন নামের এজেন্সি আমাদের রিসিভ করে তাদের অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে নয় দিন ঘরের কাজ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে একজনের বাসায় কাজের জন্য পাঠানো হয়। ওই বাসায় ভোর ৫টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত আমাকে দিয়ে টানা কাজ করান হতো। প্রতি রাতে মালিকের শরীর মালিশ করে দিতে হতো। মালিশ করতে একটু দেরি হলে কিংবা পরিশ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আমাকে মারধর করা হতো। প্রতিদিন সকালে দু’টি গাড়ি পরিষ্কার করতে হতো। তাদের ভাষা না বুঝলে মারধর করত। একদিন বাড়ির দরজা খুলতে একটু দেরি হয়েছিল। সে দিন আমাকে তারা খুব মারধর করে। কান্না করা ছাড়া সে দিন আমার আর কিছুই করার ছিল না। ওইদিন পরিবারের কথা খুব বেশি মনে পড়ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘একদিন মালিক বলেছিল মুরগীর মাংস ভিজিয়ে রাখতে। সে দিন মুরগীর মাংস ভিজিয়ে রাখতে একটু দেরি করেছিলাম বলে আমাকে তারা চাকরিচ্যুত করে। আমি সেখানে এক মাস ২২ দিন কাজ করেছি। বেতন বাবদ যা পাওনা ছিল তা থেকে ১১ হাজার টাকা কম দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আমাকে চাকরি ঠিক করে দেবে বলে তা আর না দিয়ে ঢাকায় ফেরত পাঠিয়ে দেয় এজেন্সি। ঢাকায় এসে আমিও অন্যান্য ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে লিখিত দরখাস্ত করি।’
হংকং ফেরত নারীদের নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক জাভেদ আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৩০০ জন নারীকে সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হংকংয়ে পাঠানো হয়েছে। আরও অনেকে যাচ্ছে। কিন্তু এদের মধ্যে ১৫ জন ভোগান্তির শিকার হয়ে ফেরত এসেছে। এটাকে আমরা টার্মিনেট বলি। আর যাদের বাড়িতে তারা চাকরি করত তাদের এ্যামপ্লয়ার বলা হয়ে থাকে। এরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে হংকং গিয়েছিল। এখন তারা ফেরত এসে সেই টাকা মওকুফ করতে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছে। আসলে ব্যাংকের অথরিটি তো আমাদের নয়। এ ব্যাপারটি পুরোপুরি ব্যাংকের। আমি মন্ত্রণালয়ে তাদের জন্য সুপারিশ করেছি। অন্য দেশে যেন তাদের মাইগ্রেট করা যায় সে ব্যবস্থা করছি। মালদ্বীপে তাদের মাইগ্রেট করার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই ১৫ জন নারীর জন্য খুবই সহানুভূতিশীল। আমাদের মন্ত্রী, সচিব, ডিজি থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল সকলে তাদের জন্য সহানুভূতিশীল। তারা গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে বলছে ঠিক আছে। তবে তাদের খেয়াল রাখা উচিত এ সহানুভূতি যেন নষ্ট না হয়।’
বনানীতে অবস্থিত রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান শামীমুর রহমান নোমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘তারা সরকারিভাবেই হংকংয়ে যায়। আমরা তো শুধু হংকংয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি করে দেই। এ ছাড়া আমাদের আর কোনো কাজ নেই। বাকি সকল কাজ হংকংয়ের এজেন্সির। তারাই স্কাইপির মাধ্যমে ইন্টারভিউ নিয়ে নারীদের বাছাই করে।’
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বাসিন্দা বিউটি খাতুন। তিন ছেলের জননী তিনি। অষ্টম শ্রেণীর বেশী পড়ালেখাও করতে পারেননি। কারণ এরও আগে তার বিয়ে হয়ে যায়। ২০১৩ সালে তিনি পত্রিকায় হংকংয়ে যাওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেখতে পান। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গাজীপুরের বোর্ডবাজারে গিয়ে তিনি রেজিস্ট্রেশন করেন। রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সাদিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফোন করলে বিউটি মিরপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে অভিবাসন ব্যয় ও প্রশিক্ষণ বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিতে বললে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেন।
বিউটি খাতুন বলেন, ‘ব্যাংক এ্যাকাউন্ট আছে এমন দুজনের ব্ল্যাক চেক, বাড়ির দলিলের কপি দিয়ে তারপর ঋণ নিতে হয়েছে। এখন ব্যাংক থেকে টাকার জন্য অনেক চাপ দিচ্ছে। কিন্তু ঋণের টাকা কীভাবে দেব? হংকং থেকে তো খালি হাতে ফিরেছি। দুজন জামিনদারের মধ্যে একজন আমার দেবর। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। ব্যাংক থেকে বলেছে, যদি ঋণ পরিশোধ করা না হয় তবে দেবরের বেতন থেকে তা কেটে নেওয়া হবে। ঋণের টাকা মওকুফ করার জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কাছে লিখিত আবেদন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তো লিখিত আবেদন গ্রহণই করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০ সেপ্টেম্বর আমি হংকংয়ে যাই। প্যাসিফিক গার্ডেন এজেন্সি আমাকে রিসিভ করে চার দিন ঘরের কাজের ট্রেনিং দেয়। এরপর আমাকে যে এ্যামপ্লয়ার নিয়ে যায় তার বাসায় কাজ করতে গিয়ে আমাকে খাবারের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আমাকে ঠিকমতো পানি খেতে দিত না। তার ওপর ভাত খেতে পারতাম না। কারণ তারা ভাত শূকরের মাংস দিয়ে রান্না করত। পরে আমি অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হই। এক মাস পাঁচ দিন কাজ করার পর তারা আমাকে টার্মিনেট করে দেয়। ৬০ হাজার টাকা পুনরায় দিয়ে মাকাও গেলে নতুন চাকরির কথা বলে এজেন্সি থেকে। কিন্তু এত টাকা ছিল না বলে দেশে পাঠিয়ে দেয় তারা। ৮ নভেম্বর ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে আসি। তবে আমি চিনি এমন দুজন নারী কাজ থেকে টার্মিনেট হওয়ার পর এজেন্সি থেকে পালিয়ে অন্য শহরে বসবাস করছে।’
প্রসঙ্গত, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল, বিমান ভাড়া ছাড়া অভিবাসন ব্যয়, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কল্যাণ ফি, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ভিসা ফি, সার্ভিস চার্জ, আয়কর, ওরিয়েনটেশন, ট্রেনিং বিবিধ ব্যয় বাবদ সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে জমা নেওয়া হবে এবং হংকংয়ে হাউসকিপারের কাজে প্রতি মাসে বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা।’
অভিবাসী নারী শ্রমিকদের ৬৫ শতাংশেরও বেশি নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের একটি বড় অংশ কখনো দূতাবাসে যান না। আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, যত নারী বিদেশে কাজ করতে যাচ্ছেন, তাদের ৪৮ শতাংশ কখনো স্কুলে যাননি এবং ৬৭ শতাংশ প্রশিক্ষণ ছাড়া বিদেশে যাচ্ছেন। তাদের ৫৬ শতাংশ বিপুল টাকা ধার করেন এবং অনেকেই ধার শোধ করতে পারেন না। তারা মূলত দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রচুর টাকা খরচ করে বিদেশে যান এবং ধার শোধ করতে গিয়ে জমানো টাকা শেষ করেন। যারা বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন, তাদের একটা বড় অংশ দেশে ফিরে অর্থ রোজগারের কোনো কাজে যুক্ত হচ্ছেন না।
অন্যদিকে, বিদেশে গৃহস্থালী পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারা, ভাষাগত সমস্যা ও ভিন্ন খাদ্যরুচি ইত্যাদির জন্য বাংলাদেশের নারী শ্রমিক ও কর্মীর শ্রমবাজার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিদেশের কারাগারে বন্দী নারী শ্রমিকদের অবস্থাও বেশ করুণ। তাদের মুক্তির জন্য সরকারি তৎপরতা পর্যাপ্ত নয়। ফলে তাদের কারাগার থেকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। যারা কারাগারের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে আছেন তাদের অবস্থা আরও করুণ। তারা না পারছেন দেশে ফিরে আসতে, না পারছেন উপার্জন করতে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বেগম শামসুন্নাহার দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘নারী শ্রমিক ও গৃহকর্মীদের নির্যাতনের কিছু ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও কমে আসবে। হংকং ও জর্ডানের সঙ্গে সরকার যে চুক্তি করেছে, তাতে গৃহশ্রমিকরা সপ্তাহে একদিন ছুটি পাবেন। তারা ওই সব দেশের নাগরিকদের মতো স্বাস্থ্য বীমার সুযোগও ভোগ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘দূতাবাসগুলো কীভাবে অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে আরও বেশী যোগাযোগ রাখতে পারে, সে ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে। দূতাবাসের আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিবাসী শ্রমিকরা সহজে যেতে পারছেন কিনা, কীভাবে এ সেলগুলো আরও বেশি কার্যকর করা যায় সে সব নিয়েও আলোচনা চলছে।’
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) পরামর্শক মাহরুখ মহিউদ্দীন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘অভিবাসী নারী শ্রমিকরা শারীরিক নির্যাতনসহ নানা অত্যাচারের শিকার হন। সাহায্যের জন্য তাদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ স্থানীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করেন না। অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সুরক্ষায় কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো দরকার। অন্যান্য দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। উৎসব-অনুষ্ঠানে তারা নিজ দেশের লোকজনকে আপ্যায়ন করেন। বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়গুলো চিন্তা করে দেখতে পারে।’