আমেরিকার কথায় চললে দেশ স্বাধীন হতো না: সুরঞ্জিত
সাংসদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘আমেরিকার কথায় চললে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বাংলার মানুষ তাদের সপ্তম নৌবহর দেখেছে। বাঙালিকে কেউ দমাতে পারেনি, কখনো পারবে না।’
আজ সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন। উপজেলা শহরের বিএডিসি মাঠে এই অনুষ্ঠান হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাইকে ‘বালিকা মন্ত্রী’ উল্লেখ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখন নিশা দেশাইয়ের নেশায় মগ্ন হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এতে কোনো লাভ হবে না। দেশে অবশ্যই নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায়, তবে সেটি কারও কথায় নয়, নির্বাচন হবে সাংবিধানিকভাবে।’
জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘খুনি’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ’৭৫–পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান তেলে-জলে এক করতে চেয়েছিলেন। সেই থেকেই জিয়া বাংলাদেশে বিভক্তির রাজনীতি সৃষ্টি করে দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেন। খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের হাতে দেশের পতাকা তুলে দিয়ে দেশের স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত করেছেন। এখন তাঁদের বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘কম বয়সী নেতা’ হিসেবে মন্তব্য করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘সে গণ-অভ্যুত্থানের কথা বলছে। এর মানে সে কী জানে। গণ-অভ্যুত্থান দেশে একবারই হয়েছে, সেটা ’৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা করেছি।’
দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান, বর্তমান সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সাংসদ শামসুন্নাহার বেগম শাহানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট, দিরাই উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় প্রমুখ।