আখাউড়া থানার এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সংবাদদাতা : জেলার আখাউড়া থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে চুরি, চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
স্থানীয় এক আইনজীবীর সহকারী রাশেদ মিয়া বাদী হয়ে সোমবার আখাউড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি সার্কেল) মামলার অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল নাজমুলকে ১ ও ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২/৩ কনস্টেবলকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২৫ নভেম্বর দুপুরের দিকে বাদী মো. রাশেদ মিয়াসহ পাঁচজন দুটি মোটরসাইকেলে মামলার ৫ নম্বর সাক্ষী মো. দুলাল মিয়ার শ্বশুর বাড়ি আখাউড়ার কলেজপাড়ায় নিমন্ত্রণে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফেরার পথে আখাউড়া কলেজ গেইটে (তিন রাস্তার মোড়) তাদের বহনকারী মোটরসাইকেল দুটি থামায় পুলিশের একটি দল। মোটরসাইকেল থামানোর পরই পুলিশ সদস্যরা গাড়ির চাবি নিয়ে নেন এবং পাঁচজনকে আটক করেন। এরপর দুলাল মিয়া তার আত্মীয় মামলার ৬ নম্বর সাক্ষী মো. শিপন মিয়াকে খবর দেন। শিপন সেখানে এসে তাদের আটক করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে এসআই দেলোয়ার ও কনস্টেবল নাজমুল তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্যে ৯০ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় মাদকের মামলা দিয়ে চালান করে দেওয়ার হুমকি দেন।
মানসম্মানের ভয়ে তারা ৯০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হন এবং তাৎক্ষণিক ২৮ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকার জন্য বাদী এবং মামলার ১ ও ২ নম্বর সাক্ষী মো. বেলাল হোসেন ও মো. কুদ্দুস মিয়ার কাছ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি মোবাইল সেট রেখে দেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা। বাকি ৬১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে মোবাইল সেট ফেরত নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পুলিশ সদস্যরা ওই স্থান ত্যাগ করেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ঘটনাটি আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানানোর পর কনস্টেবল নাজমুল তার ভাগে পাওয়া এক হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে বাদীকে ফেরত পাঠান। তিনি ঘটনার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাশেদ মিয়া নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তার সঙ্গে কনস্টেবলের কথা কাটাকাটি হয়। তিনি তখন সেখানে গিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে দেন। ওই ঘটনায় রাশেদ মিয়া মামলা দিয়েছেন। টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।’
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাম্মাদ হোসেন বলেন, ‘মামলা হওয়ার কথা শুনেছি। তবে এর আগে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি।’