সময়ক্ষেপণ করলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষও বসে থাকবে না: সন্তু লারমা
দোহাই দিয়ে যদি সরকার সময়ক্ষেপণ করতেই থাকে, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষও বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সন্তু লারমা বলেন, সশস্ত্র ও নিরস্ত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সই হয়েছিল। ১৭ বছর পর এসে এ বিষয়ে আবারও আমাদের অন্তরে অনুভূত হচ্ছে এ চুক্তি বাস্তবায়নে হয়তো বা আবারও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হতে পারে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আলোর মুখ দেখবে না। আর এ ক্ষেত্রে তারাও (পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী) নড়েচড়ে বসবে।
এই চুক্তি বাস্তবায়নে বড় বাধা হলো সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তা, যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় সার্বিকভাবে জড়িত বলে অভিমত দেন তিনি।
চুক্তি বাস্তবায়নের পথে অনেক সমস্যা ও বাধা আছে বলে মন্তব্য করেন সন্তু লারমা। যার হাতে রাষ্ট্র পরিচালনা ও দেশ শাসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে তিনি যদি সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আহ্বান করে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসেন, তাহলে এই চুক্তি স্বাভাবিক গতিতে বাস্তবায়িত হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তবে এর পরও নানা বাধা আসবে বলে সন্তু লারমা মন্তব্য করেন।
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে বিশেষ শাসনব্যবস্থার প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানসমূহের শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশন। সহযোগিতায় ছিল মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস। আরও বক্তব্য দেন সাংসদ উষাতন তালুকদার, সাংসদ ফজলুর রহমান মিজবাহ, সাবেক তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর জনসংহতি সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে সন্তু লারমা আগামী বছরের ১ মে থেকে অসহযোগ আন্দোলন করার হুমকি দেন। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।