বরিশালে আইএইচটি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে বরিশালে সড়ক অবরোধকারী আইএইচটি (ইন্সটিটিউট অ্যান্ড হেলথ টেকনোলজি) শিক্ষার্থীদের ওপর বুধবার লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশের ৩ সদস্যসহ অর্ধশত আহত হয়েছে।
বেলা ১১টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে নগরীর বান্দ রোডে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৩৫ জনকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যার ২৯ জনই ছাত্রী। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৪ শিক্ষার্র্থীকে আটক করে। এর মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রী বলে জানা গেছে।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া আইএইচটি শিক্ষার্থী মো. হোসেন জানান, প্যারামেডিকেল শিক্ষাবোর্ডের পরিবর্তে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাডুকেশন বোর্ড গঠন, দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার সকালে মেডিকেল কলেজের সামনে বান্দ রোডে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলেন। কিন্তু পুলিশ বিনা উসকানিতে তাদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে সমাবেশ পণ্ড করে দেয়। এ সময় ছাত্রীদের ওপর পুরুষ পুলিশের হামলাকে নারী নির্যাতন হিসেবে আখ্যায়িত করে এর বিচার দাবি করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিচার না হলে ইন্সটিটিউট বন্ধ করে দেয়াসহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয় শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বরিশাল নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) গোলাম রউফ খান পিপিএম জানান, বুধবার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধকালে পুলিশ তাদের বোঝাতে গেলে শিক্ষার্থীরা অনাকাক্সিক্ষত আচরণ করায় জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে পুলিশ বল প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।