নালিতাবাড়ীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন, ছেলেপক্ষের মারধর : থানায় অভিযোগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে দিনভর অনশন পালন করেছেন কলেজপড়–য়া ও এনজিওকর্মী এক প্রেমিকা। এসময় ছেলেপক্ষের লোকজন ওই তরুণীকে বেধড়ক মারধর করে ও চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলার গোজাকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন যাবত গোজাকুড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মাস্টারের ছেলে শাহীনূর আলম জুয়েল (২৭) পার্শ্ববর্তী গোজাকুড়া নলকুড়া গ্রামের মৃত ইমান হোসেনের কন্যার (২৩) সাথে বিয়ের প্রলোভনে প্রেম নিবেদন করে দৈহিক মেলামেশা করে আসছিল। মাঝপথে এসে বিয়ের কথা হলেও নানা কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। পরে প্রায় ৫ বছর আগে জুয়েল অন্যত্র বিয়ে করে এবং ওইদিকে বর্তমানে তার একটি সন্তানও রয়েছে।
কিন্তু অন্য কোথাও হতে বিয়ের সমন্ধ এলে জুয়েল প্রেমিকা ওই তরুণীর সাথে শারিরিক সম্পর্ক করেছে বলে প্রচার করে বেড়ায়। ফলে ওই তরুণীর বিয়ে হয় না। এমতাবস্থায় কিছুদিন যেতে না যেতেই গত প্রায় ৩ বছর যাবত জুয়েল পূণরায় বিয়ের কথা বলে দরিদ্র ওই তরুণীর সাথে একপ্রকার বাধ্য করে দৈহিক মেলামেশা শুরু করে। সবশেষ গতকাল বুধবার রাতেও তরুণীর ছনের বেড়ার জানালা ফাঁকা করে হাত ঢুকিয়ে বাইরে আসতে বাধ্য করে এবং একই আচরণ করে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই তরুণী বিয়ের দাবীতে প্রেমিক জুয়েলের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করে। এসময় বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে জুয়েলের লোকজন তরুণীকে বেধড়ক মারধর করে ও চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলে।
একপর্যায়ে অনশনের খবর পেয়ে আশপাশ এলাকা থেকে শতশত মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। পরে বিকেলে থানা পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিলে তরুণী অনশন ভেঙে সন্ধ্যায় নালিতাবাড়ী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
এদিকে সকাল থেকেই লম্পট জুয়েল পলাতক রয়েছে।
নালিতাবাড়ী থানার এএসআই শামীম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভিকটিমকে আইনী সহায়তার কথা বলা হলে সে অনশন ভাঙে এবং থানায় এসে অভিযোগ দাখিল করে।