র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সবুজ নিহত

Perojpur_thereport24.comপিরোজপুর প্রতিনিধি : জেলার কাউখালীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নাজির আহম্মেদ সবুজ (৪২) নিহত হয়েছেন। র‌্যাবের দাবি, নাজির আহম্মেদ সবুজ ‘সবুজ বাহিনীর প্রধান দস্যু’।
কাউখালী শহরের কাউখালী মহাবিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটেছে।
র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি কাটা রাইফেল, পাঁচটি ককটেল ও কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
নিহত নাজির আহম্মেদ সবুজ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগর গ্রামের আব্দুল আউয়াল হাওলাদারের ছেলে।
র‌্যাব-৮ এর ক্যাপ্টেন মো. বাশার বলেন, ‘র‌্যাবের একটি নিয়মিত টহল দল চারটি মোটরসাইকেলে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কাউখালী টহল দিচ্ছিল। এ সময় শহরের কাউখালী মহাবিদ্যালয় মাঠে ৪-৫ জনের একটি দলকে গোপনে বৈঠক করতে দেখেন তারা। র‌্যাব সদস্যরা মাঠের দিকে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের ডিএডি মো. রুহুল আমীনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট থাকায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান। এরপর র‌্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে সন্ত্রাসীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালাতে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘র‌্যাবের গুলিতে দস্যু বাহিনীর প্রধান নাজির আহম্মেদ সবুজ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি চালিয়ে একটি পিস্তল, একটি কাটা রাইফেল ও কিছু গুলির খোসা উদ্ধার করে।’
র‌্যাবের দাবি, দস্যু সবুজ র‌্যাব ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। সে উপকূলীয় এলাকায় তার নেতৃত্বে ‘সবুজ বাহিনী’ গড়ে তুলে দস্যুতা চালিয়ে আসছিল।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সবুজ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দস্যু সবুজের বিরুদ্ধে রাজারপুর থানায় সুনির্দিষ্ট ছয়টি ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা রয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় কয়েকটি থানায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।’
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সুলতান মাহমুদ রাত ৯টার দিকে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছে। এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে কাউখালী থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend