‘কাছা খুলতে সময় লাগে, কপাল পুড়তে লাগে না’
মুক্তিযুদ্ধের চার খলিফার একজন ও প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘মনে রাখবেন, কাছা খুলতে সময় লাগে কিন্তু কপাল পুড়তে সময় লাগে না।’
তিনি বলেন, ‘শুধুই ঈষাণ কোনে নয়, সমস্ত আকাশ জুড়ে কালবৈশাখীর মেঘ দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়টি অনুধাবনের সময় এসেছে।’
শুক্রবার বিকেলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ দেখতে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সারাদেশ ঘুরে আমি মায়ের কাছ থেকে সন্তান চেয়ে আনিনি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে আজ চলছে অসহনশীল প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি। দুর্নীতির আবর্জনায় আবর্তিত দেশের প্রধান দুই রাজনীতিক দল। তাই ছাত্র রাজনীতিও এই আবর্জনামুক্ত হতে পারছে না।’
দুই নেত্রীর উদ্দেশে প্রাক্তন এ ছাত্রনেতা বলেন, ‘কেউ ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। শুধু বিএনপির খালেদা জিয়া আর আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা সকল ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে। কিন্তু একদিন তাদের দুজনকেই সামাজিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হবে।’
দেশের দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের ৬২টি অংঙ্গ সংগঠনের মতো দুদকও একটি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এই দুদক আওয়ামী লীগের নেতাদের সব দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছে। এক্ষেত্রে বিএনপির দুয়েকটি মামলা প্রত্যাহার করলে দুদককে কিছুটা হলেও নিরপেক্ষ বলা যেত।’
নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’ আজ ক্ষমতায় কিন্তু দেশে গণতন্ত্র কই?’
তিনি বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র। আর এখন আছে গণতন্ত্রের মানসকন্যা। কিন্তু দেশে এখন গণতন্ত্র নেই।’
মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের গোত্রের বাইরে কাউকে স্বীকৃতি দেয় না। কার কতখানি অবদান তাও মূল্যায়িত হয় না। বাঙালি জাতি একদিন সঠিক ইতিহাস রচনা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স কক্ষে এ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- আবুল হাসান চৌধুরী, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল কাশেম, মোস্তাফিজুর রহমান, রেবেকা সুলতানা রানী, সৈয়দ সালাউদ্দিন, এমএ রশিদ প্রমুখ।