শেখ রেহানা পরিচয়ে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা পরিকল্পনা ছিল মাসে এক কোটি টাকা রোজগারের
আটক মারজিয়া জান্নাতি নুপা (৩১) ইসলামী ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত এবং তার স্বামী এমএ কাশেম মজুমদার (৩৯) বিআইডব্লিউটিএ’র ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন। এ দম্পতি প্রতারণা করে মাসে আনুমানিক এক কোটি টাকা রোজগারের পরিকল্পনা করেন।
র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন) মোহাম্মদ রবিউল করিম দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘শনিবার সকালে বনশ্রী থেকে নুপাকে আটক করা হয়। আটক নুপা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ফোন করে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে। আর্থিকভাবে আরও লাভবান হওয়ার জন্য মারজিয়া জান্নাতি নুপা তার স্বামীর সঙ্গে পরিকল্পনা করে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। এ প্রতারণার পরিকল্পনা হিসেবে ৩০ নভেম্বর শেখ রেহানার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের অফিসিয়াল টিএন্ডটি নাম্বারে ফোন করেন তিনি।’
রবিউল করিম বলেন, ‘নুপা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে জানান যে, আমি একজন পঙ্গু পুরুষ ও একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে আপনার কাছে পাঠাচ্ছি। তাদের কিছু আর্থিক সমস্যা রয়েছে। তাই তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।’
আটকের পরিকল্পনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে যারা চাকরি করেন তারা যতোবেশি ইন্সুরেন্স করাতে পারবেন ততো তাড়াতাড়ি চাকরিতে ভাল পজিশনে যেতে পারবেন এবং ততবেশি লভ্যাংশ পাবেন। নুপা প্রতারণার মাধ্যমে বড় অংকের ইন্সুরেন্সে প্রিমিয়াম আনার চেষ্টা করেন। এর মাধ্যমে তিনি মাসে এক কোটি টাকা রোজগারের পরিকল্পনা করেন। নুপার সঙ্গে কথোপকথনের ৩৫ মিনিট পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সন্দেহ হলে তিনি তার পিএকে দিয়ে ওই নম্বরে ফোন করান। তখন ওই নারী নিজেকে সেতু বলে পরিচয় দেন এবং বাড্ডা এলাকায় বাসা বলে জানান। র্যাবের কাছে ৩০ নভেম্বর অভিযোগ দেওয়া হলে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বনশ্রী থেকে নুপা ও তার স্বামী এম এ কাশেম মজুমদারকে আটক করা হয়।’ আটকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।