রেলমন্ত্রীর বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে অর্ধ লক্ষাধিক অতিথি
কুমিল্লা প্রতিনিধি : উৎসবের আমেজে শেষ হলো রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের বৌ-ভাত অনুষ্ঠান। শনিবার মন্ত্রীর নিজ বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক দাওয়াতি মেহমান অংশগ্রহণ করেন।
সকাল ১০টা থেকে একটানা বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অতিথিদের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ।
গত ২৯ অক্টোবর ঢাকার কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রাজকীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ৩১ অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মীরাখোলা গ্রামে হনুফা আক্তার রিক্তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
১৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বৌ-ভাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন প্রায় ২০ হাজার ভিআইপি অতিথি। বিপুল সংখ্যক অতিথিদের শৃংখলা রক্ষার্থে প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা বিভাগে রাখা হয়। অতিথিদের জন্য প্রায় ৩ একর ৭০ ডেসিমেল জমিনের ওপর তিনটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। প্রতি ব্যাচে সাধারণ কর্মী এক সঙ্গে চার হাজার, নারীদের জন্য এক হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্যান্ডেল করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ভিআইপিদের জন্য ছিল আলাদা প্যান্ডেল। রেলমন্ত্রীর সুখি দাম্পত্য জীবন কামনা করে মিয়াবাজার থেকে বসুয়ারা পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অর্ধ শতাধিক তোরণ সহস্রাধিক ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়।
বাড়ির মেইন ফটকে করা হয় আকর্ষণীয় তোরণ। অনুষ্ঠান এলাকা থেকে শুরু করে আধা কিলোমিটারব্যাপী ছিল আলোকসজ্জা। খাবার তৈরিতে ঢাকা থেকে আনা হয় পাঁচশত কর্মীসহ বাবুর্চি দল।
উপহার কাউন্টার : রেলমন্ত্রীর বিয়েতে দাওয়াত পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ ভিআইপিরা অনেকে উপহার দিয়েছেন। অতিথিদের উপহার গ্রহণ করতে প্যান্ডেলের প্রবেশপথে ছিল ১০টি কাউন্টার। ওই কাউন্টারগুলোতে বিপুল সংখ্যক উপহার গ্রহণ হতে দেখা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমবারের মত বউ নিয়ে বাড়িতে গেলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। গ্রাম্য রীতি অনুসারে তাকে পান, শরবত আর মিষ্টি দিয়ে বরণ করা হয়। এক নজর মন্ত্রীর বউকে দেখতে শত শত নারী পুরুষ ভিড় জমান বসুয়ারা গ্রামে মন্ত্রীর বাড়িতে।