এফডিসিতে খলিলের মরদেহ
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেতা খলিলের মরদেহ বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে বিএফডিসিতে নিয়ে আসা হয়। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে রবিবার সকাল ১১টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এ সময় এফডিসিতে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা কয়েকজনের বক্তব্য দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
হাসানুল হক ইনু, তথ্যমন্ত্রী : খলিলুল্লাহ খান সাহেব একজন জাত শিল্পী ছিলেন। তার কাজের মধ্য দিয়েই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তাকে চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা সমৃদ্ধ হব। আমরা চেষ্টা করব তার কাজগুলোকে সংরক্ষণ করতে। যাতে করে এ প্রজন্মের শিল্পীরা তার কাজগুলো দেখে নতুন কিছু শিখতে পারে।
এটিএম শামসুজ্জামান : তার সঙ্গে সম্পর্কটা আমার অনেক বেশি আত্মার ছিল। তার মৃত্যুতে আমার আত্মার একটা অংশ যেন ছিঁড়ে গেল।
মিশা সওদাগর : খলিল ভাই সম্পর্কে কিছু বলার যোগ্যতা আমি রাখি না। তার প্রয়াত হওয়ার খবর পেয়ে আজকে শুটিং বাতিল করে আমি এফডিসিতে চলে এসেছি। আমি শুধু বলব খলিল ভাইয়ের অভিনয় দেখে আমরা এখনো শিখি। তিনি আমাদের শিক্ষকতুল্য। তার মতো অভিনেতা শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীতেও খুব কমই আছে। তাকে হারিয়ে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। আল্লাহ নিশ্চই খলিল ভাইয়ের জন্য শান্তির জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছেন।
ওমর সানী : খলিল ভাই একজন পরিপূর্ণ অভিনেতা ছিলেন। তার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। আমরা তাকে কতোটা দিতে পেরেছি জানি না, কিন্তু তিনি আমাদেরকে অনেক কিছুই দিয়ে গেছেন। আমরা তাকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে পারিনি। তার মৃত্যুতে আমি খুবই মর্মাহত।
প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেতা খলিল। হাসপাতালের সিসিউ বিভাগে ডা. খালেদ মহসিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা।