ছাত্রলীগের লাগাম টানুন : খুলনা মহানগর বিএনপি
খুলনার বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাসের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ। রবিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, গত ৬ বছর যাবৎ শাসক দলের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা এই সংগঠনের কর্মীদের লাগাম টেনে ধরার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে দফায় দফায় সংবাদপত্রে বিবৃতির মাধ্যমে আহবান জানানো হলেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। যার সর্বশেষ পরিণতিতে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হলসমূহ থেকে ছাত্রদলের কর্মীদের বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা সারাদেশে পরিকল্পিকভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক অরাজকতা সৃষ্টি করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। প্রথমে প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনসমসূহকে ক্যাম্পাস ছাড়া করার পর তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অসংখ্য জীবনহানি, সম্পদহানি এবং একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। গত ৬ বছরে খুলনার সকল কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম হয়েছে। ভর্তি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, হলে সিট বাণিজ্যই শুধু নয়, তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার অসংখ্য অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কলেজের বিভিন্ন রুম ও অফিস থেকে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র এবং মাদকের বিশাল মজুদ উদ্ধার হয়েছে। নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রলীগের পদ পদবীধারী নেতারা মাদক, চোরাই মোটরসাইকেল ও মাদকদ্রব্য বহনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে। কিন্ত হতাশাজনকভাবে তাদের সবাই দুর্বল এজাহারের কারণে এখন শহরে প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কারণে অসংখ্য মেধাবী ছাত্রের ছাত্রজীবন ধ্বংস হয়েছে। তাদের দ্বারা শুধুমাত্র প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনই নয়, ভর্তি সংক্রান্ত অন্যায় আবদার না মেনে নেওয়ায় অনেক সম্মানিক শিক্ষক ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে। বিবৃতিতে অবিলম্বে সকল ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী ক্যাডারদের গ্রেফতার, তাদের মাদক ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার আস্তানা উচ্ছেদ করে শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহবান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম মেঝো ভাই, জলিল খান কালাম, ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু প্রমুখ।